এশিয়া
বিদেশে এখন
0

জন্মের পরই তারকা জলহস্তী শাবক!

জন্মের ১০০ দিন পার হওয়ার আগেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমত সেলিব্রেটিতে পরিণত হয়েছে 'থাই হিপো' নামে খ্যাত এক জলহস্তী শাবক। থাই হিপো'র জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে নিত্য নতুন নতুন পণ্য বাজারে আনছেন উদ্যোক্তারা। রীতিমতো ফ্রাঞ্চাইজি খুলে বসেছেন অনেকে।

থাইল্যান্ডের কাউ কিয়াও চিড়িয়াখানায় গভীর যত্নে জলহস্তী শাবকটিকে লালন-পালন করা হচ্ছে। এটি যেনো তেনো কোনো জলহস্তী ছানা নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েক মিলিয়ন ফলোয়ার আছে এই জলহস্তীটির।

গেল জুলাই মাসে কাউ কিয়াওতে এর জন্ম। থাই পিগ নামেই এটি বেশি পরিচিত হলেও, পিগমি প্রজাতির এই জলহস্তীর উৎপত্তি পশ্চিম আফ্রিকায়। উজ্জ্বল গোলাপি গাল আর হৃষ্টপুষ্ট শরীর নিয়ে জন্ম নেয়ায় শাবকটির নাম রাখা হয় মু ডেং- থাই ভাষায় যার অর্থ তুলতুলে শূকর ছানা। এছাড়া, মু ডেং-এর সাথে জন্ম নেয়া বাকি দুই সহোদরের নাম রাখা হয়েছে পর্ক স্ট্যু ও সুইট পর্ক।

সামাজিক মাধ্যমে এটি পরিচিতি পেয়েছে 'থাই হিপো' নামে। মু ডেং ভিডিও খুঁজলে দেখা যায়, জলহস্তীর ছানাটি রীতিমতো এক ইন্টারনেট সেনসেশনে পরিণত হয়েছে। শুধু ইন্টারনেট নয়, থাইল্যান্ডের ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্যও নতুন বাজার সৃষ্টি করেছে এই 'থাই হিপো'।

রাজধানী ব্যাংককের ভেটনাম ক্যাফেতে গিয়ে ডেজার্ট সেকশনের সামনে দাঁড়ালেই বোঝা যাচ্ছে দেশটিতে থাই হিপো মু ডেং-এর জনপ্রিয়তা কতখানি। অবিকল জলহস্তী শাবক মু ডেং-এর আদলে বানানো হয়েছে কেক। আর সেই কেকের স্বাদ নিতে বাড়ছে ক্রেতাদের ভিড়। ১০ দিনে হিপো কেক বিক্রি করে আয় হয়েছে ৩ হাজার ডলারেরও বেশি অর্থ।

একজন ব্যবসায়ী বলেন, 'যখন থেকে 'মু ডেং' কেক বানাতে শুরু করেছি, আমাদের ঘুম উড়ে গেছে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কেকের ডিজাইন করতে করতে সময় কেটে যাচ্ছে। অবশ্য আমাদের লাভও হচ্ছে অনেক। ১০ দিনে কয়েক হাজার ডলারের কেক বিক্রি করেছি।'

একজন কেক ক্রেতা বলেন, 'কেকটা খেতেও বেশ ভালো। নরম ও সুস্বাদু। ভেতরে স্ট্রবেরির সিরাপ আছে, সেটার স্বাদ সবচেয়ে ভালো।'

একজন ক্রেতার অনুরোধে হিপো কেক বানাতে শুরু করে ভেটনাম ক্যাফে। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যম পোস্ট করার পর ৬০ থেকে ৭০ লাখ মানুষের নজরে আসে হিপো কেক। সেই দিনই ১০০ এরও বেশি অর্ডার পায় ক্যাফেটি।

শুধু পেস্ট্রি নয়, থাইল্যান্ডের খেলনার বাজারেও রাজত্ব করছে জলহস্তীর এই শাবকৱ। প্রতিষ্ঠার সময় থেকে পপ কালচার নিয়ে কাজ করছে ব্লাইন্ড বক্স আর্ট টয়েজ। থ্রি ডি প্রিন্টারের সাহায্যে এবার মু ডেং-এর পুতুল বানিয়ে রীতিমতো আলোচনায় খেলনা প্রস্তুককারণ প্রতিষ্ঠানটি। আগামী এক সপ্তাহে কয়েক হাজার ডলার আয় করা সম্ভব এমন ধারণা তাদের।

একজন ব্যবসায়ী বলেন, 'ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টিকটক সবখানেই পিগমি হিপো-কে দেখা যাচ্ছে। মু ডং সবাইকে তাক লাগিয়ে দিচ্ছে। ঠিক এই কারণেই আমি জলহস্তীর শাবকের আদলে খেলনা বানাচ্ছি। একটা ম্যাজিক বক্স ডিজাইন করেছি, থাইল্যান্ডের খেলনার কদর দুনিয়াজোড়া।'

কেক ও খেলনা ছাড়াও হাল ফ্যাশনের পোশাক, নিত্য প্রয়োজনীয় নানা পণ্যের ডিজাইনেও স্থান পেয়েছে মু ডেং। থাইল্যান্ডসহ বিশ্বের নানা দেশে মু ডেং-ফ্র্যাঞ্চাইজি শুরু করার কথা ভাবছে বহুজাতিক একাধিক প্রতিষ্ঠানও।

এমএসআরএস

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর