আর্জি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে হত্যার ঘটনায় উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ছে গোটা ভারতে। দোষীদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার রাতেও দেশের বিভিন্ন সড়ক দখলে নেয় আন্দোলনকারীরা। সুষ্ঠু বিচারের দাবির পাশাপাশি স্লোগান ছিল মমতার পদত্যাগেরও।
আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে শনিবার ২৪ ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন- আইএমএ। ভারতের সবচেয়ে বড় চিকিৎসক সংগঠনের দাবি, আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বিমানবন্দরের মতো নিরাপত্তা প্রটোকল নিশ্চিত করতে হবে হাসপাতালে। ৩৬ ঘণ্টা শিফট পুনর্বিবেচনার দাবিও জানিয়েছেন তারা। জরুরি সেবা ব্যতীত রোববার স্থানীয় সময় ভোর ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে সব ধরনের সেবা।
এক চিকিৎসক বলেন, 'দোষীর ফাঁসি নিশ্চিত করতে হবে। চিকিৎসকদের জন্য সেন্ট্রাল প্রটেকশন অ্যাক্ট প্রণয়ন করতে হবে। এটি খুবই লজ্জাজনক ঘটনা।'
অপর এক চিকিৎসক বলেন, 'আমাদের কাজে যেতে হয়, আমাদের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে কাজ করতে হয়। ভয় পেয়ে আমরা ঘরে বসে থাকতে পারি না। তাই আমরা চিকিৎসকদের নিরাপত্তা চাই।'
ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় নিহত চিকিৎসকের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছে গোয়েন্দা সংস্থা সিবিআই। নিহতের পরিবারের ধারণা, এই কাজে জড়িত ছিলেন হাসপাতালের কয়েকজন ইন্টার্ন ও চিকিৎসক। শুক্রবার থেকে ৩০ সন্দেহভাজনের তালিকা তৈরি করেছে সিবিআই। এরমধ্যেই টানা ১৬ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে হাসপাতালের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে।
এদিকে আন্দোলন দুর্বল করতে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ৪৩ চিকিৎসককে বদলি করে মমতা প্রশাসন। যাদের প্রায় সবাই জড়িত ছিলেন আন্দোলনের সঙ্গে।