পরিবেশ ও জলবায়ু , এশিয়া
বিদেশে এখন
0

তীব্র বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত ভারত, পাকিস্তান ও চীন

তীব্র বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত এশিয়ার তিন প্রতিবেশি দেশ-ভারত, পাকিস্তান ও চীন। ভারতের কেরালায় জোড়া ভূমিধসের দু'দিনেও মেলেনি আড়াইশ' মানুষের খোঁজ। পাকিস্তানের লাহোরে ৪৪ বছরের রেকর্ড সর্বোচ্চ বৃষ্টিতে প্রাণ গেছে চারজনের। খাইবার পখতুনখোয়ায় এ সংখ্যা ২৪। টাইফুন গায়েমির আঘাতে চীনের হুনান প্রদেশেই মৃতের সংখ্যা ৩০ ছাড়িয়েছে।

বৃষ্টিতে স্বস্তির ঘুম হয়ে দাঁড়ালো জীবনের শেষ ঘুম। তিনশ'র বেশি মানুষের মৃত্যু নিশ্চিত হলেও ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে নিখোঁজ আড়াইশ' মানুষকে জীবিত উদ্ধারের চেষ্টা। দু'দিন পার হয়ে যাওয়ায় ফিকে সে সম্ভাবনাও।

কেরালার ওয়ানাড জেলায় জোড়া ভূমিধসের পর দু'দিনে পার্বত্য গ্রামগুলো থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১৬শ' মানুষকে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পর্যন্ত উদ্ধারকারী ভারী সরঞ্জাম পৌঁছাতে ১৯০ ফুট দীর্ঘ একটি অস্থায়ী সেতু নির্মাণের চেষ্টা করছে সেনাবাহিনী। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় উদ্ধারকাজ কঠিন হয়ে দাঁড়ানোয় এবং সেতু নির্মাণ হতে হতে প্রাণহানি আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে। শনিবার পর্যন্ত বৃষ্টি বাড়বে বলে রয়েছে পূর্বাভাস।

কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারায়ি বিজয়ন বলেন, 'এই এক দুর্যোগে যেন আরও বড় বিপর্যয় ডেকে না আসে, সে চেষ্টাই করছি আমরা। এই বিপর্যয় ঠেকানো না গেলে এরপর মহামারি রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে। যেকোনো মূল্যে তা ঠেকাতে হবে।'

ভারতীয় আবহাওয়া অধিদপ্তর বিজ্ঞানী নীতা কে গোপাল বলেন, 'রোববার থেকে বৃষ্টি কমতে পারে। এরপরের চারদিন হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি। তাই আগের তিনদিন নিয়ে আমাদের উদ্বেগ বেশি। তার ওপর আজকে বৃষ্টি আরও বাড়বে বলে ধারণা করছি।'

উত্তরাখাণ্ড, হিমাচল, কর্নাটক, জম্মু-কাশ্মীর, এমনকি রাজধানী দিল্লিতেও ভারী বৃষ্টি-বন্যায় প্রাণ গেছে অনেকের। কেদারনাথে ৭০০ এর বেশি তীর্থযাত্রীকে হেলিকপ্টার দিয়ে সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন, এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। সিকিমে দেখা দিয়েছে নদীভাঙন, ভবন ধসছে। সরিয়ে নেয়া হয়েছে ৩০০ এর বেশি পরিবারকে।

প্রতিবেশি পাকিস্তানে খাইবার পখতুনখোয়াসহ বিভিন্ন রাজ্যে বাড়ছে প্রাণহানি। দেশটির দ্বিতীয় বৃহৎ শহর লাহোরে বৃহস্পতিবার তিন ঘণ্টায় ৩৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা ৪৪ বছরে সর্বোচ্চ। তলিয়ে গেছে সড়ক মহাসড়ক।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, 'তাকে এখানকার পরিস্থিতি দেখান। মানুষ ডুবছে। গাড়িঘোড়া বিকল হয়ে পড়ছে। কোথায় পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী? কোথায় পানি নিষ্কাশনের কাজ চলছে, আমরাও জানতে চাই।'

অন্যদিকে আরেক প্রতিবেশি চীনের হুনান প্রদেশেও একই পরিস্থিতি টাইফুন গায়েমির প্রভাবে। প্রাণ গেছে অনেকের। হেইলংজিং, জিলিনসহ অন্যান্য প্রদেশেও বাড়ছে বন্যার পানি।