টাইফুন আর মৌসুমি বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে ম্যানিলা। বন্যায় ডুবে যাওয়া বসতবাড়ির বাসিন্দাদের জোর করে সরিয়ে নেয়া হয়েছে। রাজধানীতে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে দাপ্তরিক সব কার্যক্রম। শেয়ারবাজারের কার্যক্রমও স্থগিত করা হয়েছে। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে হাঁটুপানিতে নগরবাসী পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। ঘূর্ণিঝড়টি কেন্দ্রে ঘণ্টায় ২২৭ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে তাইওয়ানের দিকে।
স্থানীয়রা বলেন, বাসা বাড়িতে পানি ঢুকে পড়েছে। আমাদের ওপর এই প্রভাব ট্রমার মতো। আমরা অনিশ্চয়তার মধ্যে আছি। যেহেতু বন্যার পানি বাড়ছে। এর মধ্যে ফ্লাইট বাতিল হয়ে গেছে। অনেক বাসিন্দাদের উপকূল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। টাইফুন অনেক বড় হলে নৌকা ভেঙে যাবে।
এদিকে টাইফুনটি আঘাত হানবে তাইওয়ানে। আতঙ্কে দ্বীপাঞ্চলটির মাছ ধরা সম্প্রদায় পড়ে গেছে চরম বিপাকে। নৌকাগুলো সরিয়ে আনছেন সমুদ্র উপকূল থেকে। টাইফুনের কারণে অঞ্চলটিতে একদিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। মাঝারি আকারের শক্তিশালী এই টাইফুন বুধবার নাগাদ তাইওয়ানে আঘাত হানার পর অগ্রসর হবে চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের দিকে।
তাইওয়ানে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল হুয়ালিয়েন অঞ্চলে আঘাত হানবে টাইফুন গায়েমি। এপ্রিলে ৭.৪ মাত্রার ভূমিকম্পে তাইওয়ানে এক হাজারের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। চলতি মৌসুমে তাইওয়ানে আঘাত হানা প্রথম টাইফুন গায়েমি। এরমধ্যেই দ্বীপাঞ্চলটি বাতিল করেছে বুধবারের প্রায় সব ফ্লাইট।
দ্বীপাঞ্চলটিতে শুরু হয়েছে বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া। বলা হচ্ছে ৮ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে শক্তিশালী ঝড় এটি। তাইপেতে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে স্কুল আর শপিংমল। ১ হাজার ৮০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। এরমধ্যেই চীনের সেনা অভিযান আতঙ্কে তাইওয়ানে চলছে ৫ দিনের বড় সামরিক মহড়া। টাইফুনের কারণে এই মহড়ার সময়সীমায় পরিবর্তন আসতে পারে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।