সংশ্লিষ্ট ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে উড্ডয়নের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পড়ে সৌরিয়া এয়ারলাইন্সের বিমানটি। এসময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়।
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের মুখপাত্র তেজ বাহাদুর পৌড়িয়াল বলেন, ‘শুধু ক্যাপ্টেনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।’
বিমানবন্দরের নিরাপত্তা প্রধান অর্জুন চাঁদ ঠাকুরি জানান, বিমানটিতে দুই ক্রু সদস্য ও ১৭ জন টেকনিশিয়ান ছিলেন। পোখারা বিমানবন্দরের রক্ষণাবেক্ষণের কাজে তারা সেখানে যাচ্ছিলেন।
নেপালের ত্রিভুবন বিমানবন্দরে যাত্রীবাহী বিমান বিধ্বস্ত। ছবি: সংগৃহিত
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা যায়, দমকলবাহিনী বিধ্বস্ত বিমানের আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছেন। অন্যান্য ফুটেজে দেখা গেছে, মাঠে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিমানটির পুড়ে যাওয়া অবশিষ্টাংশের মধ্যে উদ্ধারকর্মীরা তল্লাশি চালাচ্ছেন। বিমানটি বোম্বার্ডিয়ার ছিল বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। বিমানবন্দরটির কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
ফ্লাইট রাডার ২৪ অনুসারে, সৌরিয়া দুটি বোম্বার্ডিয়ার সিআরজে -২০০ আঞ্চলিক জেট দিয়ে নেপালে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে। তবে দুটি বিমানই প্রায় ২০ বছরের পুরনো। আকাশপথে চলাচলের ক্ষেত্রে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত না করতে পারায় দীর্ঘদিন থেকেই তীব্র সমালোচনার মধ্যে রয়েছে নেপাল। গত ৪ বছরে হিমালয়ের দেশটিতে বিমান বা হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত সাড়ে তিনশ' মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম নেপাল টেলিভিশনের খবরে বলা হয়, বিমানটি কাঠমান্ডু থেকে রিসোর্ট শহর পোখারায় যাচ্ছিল। তবে উড্ডয়নের সময় বিমানটি ছিটকে পড়ার কারণ ও দুর্ঘটনায় নিহতের পরিচয় সম্পর্কে তাৎক্ষণিক কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। —রয়টার্স