বিলাসবহুল হোটেলের কক্ষটিতে থাকা পানীয়র গ্লাস ও চায়ের পাত্রে ক্ষতিকর এ রাসায়নিকের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিহতদের স্বজনরা জানান, একটি ব্যাংকে বিনিয়োগ সংক্রান্ত ঋণ নিয়ে তাদের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
নিহতদের সবাই ভিয়েতনামের। এদের মধ্যে দুইজনের মার্কিন নাগরিকত্ব রয়েছে। থাইল্যান্ড পুলিশ জানায় নিহত হওয়ার এ ঘটনা তদন্তে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন সহায়তা করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে থাইল্যান্ড পুলিশের কমান্ডার ট্রিরং ফিওপান বলেন, ‘কক্ষে থাকা ছয়টি চায়ের কাপেই আমরা সায়ানাইডের অস্তিত্ব পেয়েছি। আগামীকালের মধ্যে নিহতদের পোস্ট মর্টেম রিপোর্ট পাওয়া যাবে।’
ভিয়েতনাম সরকার জানায়, ব্যাংককে থাকা দেশটির দূতাবাস এ মামলায় থাই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একত্রে কাজ করছে। ইরাওয়ান গ্রুপ পরিচালিত গ্র্যান্ড হায়াত ইরাওয়ানে সাড়ে তিনশোর বেশি কক্ষ রয়েছে এবং এটি বেশ পরিচিত একটি পর্যটন এলাকায়। যেখানে বিলাসবহুল শপিংমল ও রেস্টুরেন্ট রয়েছে।
থাইল্যান্ডের স্থানীয় কিছু গণমাধ্যম একে গোলাগুলির ঘটনা হিসেবে প্রকাশ করছে। বাজার বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্টদের মতে এমন তথ্য কভিড-১৯ মহামারি পরবর্তী সময়ে পুনরুদ্ধারের অপেক্ষায় থাকা পর্যটন খাতের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।