ইব্রাহিম রাইসি'র উত্তরসূরি বেছে নিতে দেশটিতে চলছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোট গণনা। চার প্রার্থীর মধ্যে পার্লামেন্টের স্পিকার ও তেহরানের মেয়র মোহাম্মাদ বাঘের ঘালিবাফের সম্ভাবনা বেশি থাকলেও চমক দেখাচ্ছেন মাসুদ পেজেশকিয়ান।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সবশেষ তথ্য বলছে, ফল গণনায় সবার ওপরে আছেন একমাত্র সংস্কারপন্থী এই নেতা। ইরাকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অংশ নেয়া বর্ষীয়ান পেজেশকিয়ানের সুখ্যাতি আছে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ হিসেবে। তাবরিজ থেকে পাঁচবার নির্বাচিত এই আইনপ্রণেতা আজেরি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করায় পাচ্ছেন সংখ্যালঘুদের সমর্থনও। নির্বাচিত হলে পারমাণবিক চুক্তি ইস্যুতে পশ্চিমাদের সঙ্গে আলোচনার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
পেজেশকিয়ানের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করছেন রক্ষণশীল নেতা সাঈদ জালিলি। জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনির প্রতিনিধিত্ব করছেন তিনি। নির্বাচনে জয় শুধু এগিয়ে থাকলেই চলবে না, পেতে হবে ৫০ শতাংশ ভোট। বিশ্লেষকদের ধারণা, এবারের নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন না কেউই। সেক্ষেত্রে এগিয়ে থাকা দুই প্রার্থীর মধ্যে আবারও ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৫ জুলাই।
এর আগে গতকাল (শুক্রবার, ২৮ জুন) প্রায় ৬০ হাজার ভোটকেন্দ্রে ১৪ ঘণ্টা ধরে চলে ভোটগ্রহণ। ভোটার উপস্থিতির হার বাড়ানোর জন্য দুই দফায় ভোটগ্রহণের সময় বাড়ানো হয় ৪ ঘণ্টা। যদিও প্রায় ৬ কোটি ১৫ লাখ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন মাত্র ৪০ শতাংশ নাগরিক।