এশিয়া
বিদেশে এখন
0

ভারতে দাবদাহের মধ্যেই কাজ করেন দিনমজুররা

জীবিকা উপার্জনের আর কোনো পথ নেই। তাই দাবদাহের মধ্যেই কাজ করে যাচ্ছেন দিনমজুররা। ভারতে ৬০ শতাংশ নির্মাণশ্রমিক গ্রীষ্মে ভোগেন মৃদু থেকে গুরুতর তাপজনিত উপসর্গে। সম্প্রতি এক গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, দিনের মধ্যভাগের তাপমাত্রায় ২০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত উৎপাদনশীলতা কমে ভারতে।

একদিকে ঘন ঘন দাবদাহ, তার ওপর দিন দিন বাড়ছে তীব্রতা ও স্থায়িত্ব। এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত ১০ থেকে ২০টি তাপপ্রবাহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাবে বলে আভাস দেশটির আবহাওয়া বিভাগের। একেকটির স্থায়িত্ব চার থেকে আটদিন।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে তাপমাত্রা আর বাতাসের আর্দ্রতা যেভাবে বাড়ছে, এতে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত কর্মজীবীদের মধ্যে অন্যতম নির্মাণশ্রমিকরা। সূর্যের খররোদে কাজ করার ফলে স্বাস্থ্য জটিলতাতে তো ভুগছেনই, কমছে নিম্নবিত্ত এসব মানুষের আয়ও। জীবিকা উপার্জনের আর কোনো উপায় জানা নেই বলে দাবদাহের মধ্যেই কাজ চালিয়ে যেতে হচ্ছে কলকাতার এই দিনমজুরদের।

একজন শ্রমিক বলেন, 'কাজের মধ্যে বিরতি না নিয়ে সূর্যের এই ভীষণ তাপ সহ্য করতে পারবো না। আবার কাজ না করলে হাতে টাকা আসবে না। তাই বাধ্য হয়েই কাজ করতে হচ্ছে।'

কলকাতায় চলতি গ্রীষ্মে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। জুন পর্যন্ত তিন মাসে গরম আর আর্দ্রতা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেশি থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ। এমন অসহনীয় পরিবেশেই রোদের মধ্যেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিরামহীন কাজ করতে হচ্ছে নির্মাণশ্রমিকদের। বিভিন্ন রাজ্যে হিটস্ট্রোকে ঘটেছে মৃত্যুর ঘটনাও।

একজন দিনমজুর বলেন, 'যেকোনো পরিস্থিতিতে কাজ করা আমাদের জন্য বাধ্যতামূলক। প্রচণ্ড রোদে যখন টানা কাজ চলে, তখন ১৫ মিনিট থেকে আধা ঘণ্টা ছায়ার মধ্যে জিরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করি। আবারও তাপ সহ্য করার জন্য নিজেদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করে তারপর কাজে ফিরি।'

ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথ গান্ধিনগরের জরিপে বেরিয়ে এসেছে, ভারতে গ্রীষ্মে মৃদু থেকে গুরুতর তাপজনিত উপসর্গে ভোগেন ৬০ শতাংশ নির্মাণশ্রমিক। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক ডিউক ইউনিভার্সিটির গবেষণায় বেরিয়ে এসেছে, ভারতে দিনের মধ্যভাগের তাপমাত্রায় শ্রমিকদের উৎপাদনশীলতা কমে ২০ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত।

এসএস