মূল্যস্ফীতির কারণে গেল বছরের চেয়ে এই বছর নিত্যপণ্যের দাম অনেক বেড়েছে, রমজানে যা আরও ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। নতুন সরকারের কাছে মানুষ স্বস্তি চায়। বাজারে এসে এভাবেই আক্ষেপ করছিলেন এক পাকিস্তানি। রমজানে প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে বাজারে ভিড় করছেন তার মতো অনেকেই। কিন্তু বেশিরভাগ পণ্যই নাগালের বাইরে। ক্রেতাদের এতো অভিযোগেও নিরুপায় বিক্রেতারা।
একজন ক্রেতা বলেন, 'গ্যাস বিল, বিদ্যুৎ বিল এমনকি পানির বিলও বেড়ে গেছে। যখন কেউ এই বিলই পরিশোধ করতে পারবে না, তখন নিত্যপণ্য কিনবে কীভাবে!'
পাকিস্তান এখনও চরম মূল্যস্ফীতি মোকাবিলা করছে, যা ৩০ শতাংশের নিচে নেমেছে। আশঙ্কাজনকহারে কমে গেছে প্রবৃদ্ধি। নিম্মমুখী রিজার্ভের এই সময় অনেক বেশি নগদ অর্থের প্রয়োজন থাকায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের ঋণ প্রয়োজন। আগামী মাসেই শেষ হচ্ছে ৯ মাস মেয়াদী ৩০০ কোটি ডলার ঋণের মেয়াদ।
রমজান সামনে রেখে জলবায়ুর এল নিনো প্রভাবের কারণে মূল্যস্ফীতিতে বিপর্যস্ত দক্ষিণ এশিয়ার আরেক দেশ ইন্দোনেশিয়া। বছর ব্যবধানে ১৬ শতাংশ বেড়েছে চালের দাম। রমজানকে সামনে রেখে বেড়েছে অন্যান্য নিত্যপণ্যের দরও।
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনতে রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন পণ্যে ২ কোটি ৬০ লাখ ডলারের ভর্তুকি প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন পাকিস্তানের নতুন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ। পাশাপাশি দেশের মানুষকে সুলভ মূল্যে খাদ্যপণ্য সরবরাহেরও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।