মিয়ানমার ওভারসিস ইমপ্লয়মেন্ট এজেন্সিস এসোসিয়েশন জানায়, সেনাবাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলকের ঘোষণার পর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে জান্তা সরকার। সীমান্তে চলমান সংঘাতে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে দেশের তরুণ প্রজন্মকে জান্তা সরকারের হয়ে যুদ্ধ করতে দেখতে চায় সেনাবাহিনী। জান্তা প্রশাসন বলছে, দেশের ১ কোটি ৪০ লাখ নারী-পুরুষ সেনাবাহিনীতে যোগদানে সক্ষম।
তবে মন্ত্রণালয় কোন ধরনের লিখিত নোটিশ দেয়নি। বিভিন্ন এজেন্সিকে বলা হয়েছে, তারা যেন কোনভাবে আন্তর্জাতিক কর্মসংস্থানের কোন চিঠির অনুমোদন না দেয়। দেশের বাইরে সব ধরনের নিয়োগ প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এজেন্সিগুলোকে। এই ঘটনায় কর্মসংস্থান নিয়ে কাজ করা এজেন্সিগুলো বিপাকে পড়েছে।
মিয়ানমার ওভারসিস ইমপ্লয়মেন্ট এজেন্সিস এসোসিয়েশন আরও জানায়, তাদের কাছে বেশ ভালো কর্মসংস্থানের সুযোগ আছে। বিদেশি যেসব কোম্পানি কর্মী নিতে আগ্রহী, তাদের সঙ্গে আলোচনায় আসতে হবে। তবে ১৩ ফেব্রুয়ারির আগে যাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে, তাদের কোন সমস্যায় পড়তে হবে না।
বিভিন্ন কর্মসংস্থান এজেন্সি দিনে ৫০০ থেকে ৮০০ বৈধ অভিবাসী কর্মী থাইল্যান্ডে পাঠায়। মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া আর জাপান পাঠানো হয় আরও ২০০ থেকে ৩০০ কর্মীকে। এদিকে নির্দেশনা এসেছে ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণ এবং ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী তরুণীদের আগামী ২ থেকে ৫ বছরের জন্য বাধ্যতামূলক সেনাবাহিনীতে কাজ করতে হবে।
এই ঘোষণার পর থেকে দেশ ছাড়তে মরিয়া সাধারণ মানুষ। কেউ কর্মসংস্থানের খোঁজে, কেউ পড়াশোনার কারণে দেশ ছাড়তে চাইছে। তাদের অভিযোগ বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধে টিকতে না পেরে সাধারণ মানুষকে ব্যবহার করছে জান্তা সরকার।