বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী তরুণ আর ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী তরুণীদের বাধ্যতামূলক ২ বছরের জন্য কাজ করতে হবে সেনাবাহিনীতে। প্রথম পর্যায়ে অন্তত ৬০ হাজার তরুণ-তরুণীকে নেয়া হবে সেনাবাহিনীতে।
সংবাদ মাধ্যম ইরাবতী বলছে, চলতি সপ্তাহ থেকেই শুরু হয়েছে সেনাবাহিনীতে বাধ্যতামূলক নিয়োগের প্রক্রিয়া। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে তরুণদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে জান্তা সেনারা। অনেক এলাকায় জান্তা সেনা আর স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তরুণ তরুণীদের তালিকা তৈরি হচ্ছে। এই জনবলকে প্রশিক্ষণ দিয়ে পাঠানো হবে বিদ্রোহীদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ, জান্তা সরকার যুদ্ধে জিততে ব্যবহার করছে তাদের।
সেনাবাহিনীতে এই ঘোষণার পর থেকে আতঙ্কে পড়ে গেছেন সংঘাতে জর্জরিত দেশটির সাধারণ মানুষ। ইয়াঙ্গুন আর মান্দালয়ে সামরিক ঘাঁটি বেশি না থাকলেও এই শহরগুলোসহ পুরো দেশে অভিভাবকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়েছে আতঙ্ক। আতঙ্কে দেশ ছেড়ে যেতে চাইছেন অনেকে। অনেক তরুণ তরুণী যাচ্ছেন বিদ্রোহীদের দখলে থাকা সীমান্তের শহরগুলোতে। যোগ দিতে চাইছেন বিদ্রোহীদের দলে।
বিদ্রোহীদের যৌথ জোট ব্রাদারহুড এলায়েন্স বলছে, রাখাইন রাজ্যের একটি শহরে তাণ্ডব চালিয়েছে জান্তা। তবে রাখাইনে বেশিরভাগ শহর ও সেনাঘাঁটি দখলে চলে গেছে আরাকান আর্মির। এদিকে, কারেন রাজ্যের কয়েকটি শহর দখলে নিয়েছে কয়েকটি বিদ্রোহী জোট। বিদ্রোহীদের হামলায় বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মি ব্যাপক সমর্থন পাচ্ছে। শান রাজ্যে বিদ্রোহীরা দখলে নিয়েছে ২০ টি শহর।
মিয়ানমার সেনাবাহিনী সম্পর্কে স্বচ্ছ আর বিশ্বাসযোগ্য কোন পরিসংখ্যান নেই বলে জানিয়েছে সংবাদ মাধ্যম এপি। সিআইএ ওয়ার্ল্ড ফ্যাক্টবুক বলছে, গেল বছর দেশটির সেনাবাহিনীতে দেড় থেকে ৪ লাখ সেনা ছিলেন। এখন সক্রিয় সেনাসদস্য থাকতে পার দেড় লাখ। জান্তা সরকার বলছে, ৫ কোটি ৬০ লাখ জনগণের মধ্যে ১ কোটি ৪০ লাখ মানুষ সেনাবাহিনীতে যোগদানে সক্ষম।