এশিয়া
বিদেশে এখন
ফের ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা উত্তর কোরিয়ার
পূর্ব উপকূলে আবারও একাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো উত্তর কোরিয়া। চলতি মাসে কিম জং উনের সম্ভাব্য রাশিয়া সফরের আগে এ ধরনের পদক্ষেপকে আশঙ্কাজনক হিসেবে দেখছে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।

ইউক্রেন যুদ্ধে গোলাবারুদ ও কামানের গোলার মতো অস্ত্র প্রয়োজন রাশিয়ার। অন্যদিকে, খাদ্য ও অর্থনৈতিক সংকট থেকে মুক্তি পেতে দ্রুতই পদক্ষেপ নিতে হবে উত্তর কোরিয়ার। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই চলতি মাসে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে মস্কো যাওয়ার কথা রয়েছে কিম জং উনের। বৈঠকে মস্কোকে অস্ত্র দেয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এর বিনিময়ে পিয়ংইয়ং কি পাচ্ছে, তা জানতে মরিয়া দক্ষিণ কোরিয়া। আর সম্ভাব্য অস্ত্রের চালান ঠেকানোর চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র।

এমন উত্তেজনার মধ্যেই একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাচ্ছে উত্তর কোরিয়া। পিয়ংইয়ং কোরীয় উপদ্বীপের পূর্ব উপকূলে আবারও একাধিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে দাবি করছে সিউল। চলতি বছরে এ নিয়ে পঞ্চম দফায় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালালো কিম জং উন প্রশাসন। স্থানীয় সময় বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে পিয়ংইয়ং।

এসব ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপের বিষয়ে বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী ও মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। এছাড়া উত্তর কোরিয়ার যাবতীয় কার্যক্রম গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী। আর আজকের ঘটনার পরপরই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বেশি জোরদার করেছে সিউল।

এদিকে উত্তর কোরিয়ার হুমকির মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল - পিয়ংইয়ংয়ের হামলার কঠিন জবাব দেয়ার হুশিয়ারি দিয়েছেন। উস্কানি দেয়া হলে কর্মকর্তাদের প্রথমে পদক্ষেপ নিয়ে, পরে রির্পোট করার নির্দেশও দেন তিনি।

২০২২ সালে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দক্ষিণ কোরিয়ার এ চৌকস নেতা উত্তর কোরিয়ার হুমকি মোকাবিলায় যৌথ সামরিক মহড়াসহ যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদার করে আসছেন।

ইএ