সর্বোচ্চ সতর্কতা হিসেবে রেড অ্যালার্ট জারি রয়েছে। এছাড়া সব স্কুল-কলেজ, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।
সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতভর রেকর্ড বৃষ্টিতে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। আবহাওয়া বিভাগ জানিয়েছে, দক্ষিণের ৮৪টি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে কায়ালপাট্টিনামে এক রাতেই ৯৫ সেন্টিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। এরইমধ্যে উদ্ধার ও ত্রাণ সরবরাহ কাজে সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সহযোগিতা শুরু করেছে।
তামিলনাড়ুর চিফ সেক্রেটারি শিব দাস মিনা বলেন, এমন পরিস্থিতি আগে কখনও দেখা যায়নি। তবে রাজ্য সরকার পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নিয়েছে। রাজ্যের সব অঞ্চল থেকে মানুষ নিয়ে বন্যাকবলিত জেলাগুলোতে সাহায্যের জন্য জনবল বাড়ানো হয়েছে।
এদিকে, পানি বাড়তে থাকায় কন্যাকুমারীর একটি বাঁধ খুলে দেয়া হয়েছে। ভাইগাই বাঁধে পানি আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। অমরাবতী ও থামিরাবরন নদীতে পানি উপচে পড়ে প্রবল স্রোতে অভেসে গেছে নেক যানবাহন । অনেক এলাকায় সড়ক ও রেল যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বন্যার কারণে বিভিন্ন রেলস্টেশনে হাজারো যাত্রী আটকা পড়েছেন। বিদ্যুৎ সংযোগ ও মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়া হাজার হাজার একর জমির শস্য নষ্ট হয়েছে।
এ বন্যায় প্রাণহানির তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি রাজ্য সরকার। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠকে বসতে দিল্লি গেছেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী।