পশ্চিমবঙ্গে আধুনিক পদ্ধতিতে চন্দ্রমল্লিকা চাষে সাফল্য

0

আধুনিক পদ্ধতিতে চন্দ্রমল্লিকা চাষ করে ব্যাপক সফলতা পাচ্ছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের ফুলচাষিরা।

পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পাঁশকুড়া ফুলের শহর হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন ধরনের ফুল চাষ হয় পাঁশকুড়ায়, যার মধ্যে অন্যতম শীতকালীন চন্দ্রমল্লিকা। চাষ পদ্ধতির ভিন্নতায় চন্দ্রমল্লিকার বাম্পার ফলন দেখছেন এখানকার চাষিরা।

পানি আর সার দিয়ে অন্য সব ফুল গাছের চাষ হলেও পাঁশকুড়ায় চন্দ্রমল্লিকা চাষে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার যুক্ত হয়েছে। বৈদ্যুতিক বাল্ব জ্বালিয়ে ছোট গাছের বেড়ে ওঠার গতি বাড়ানো হয়। এক বিঘা জমিতে শতাধিক বাল্ব জ্বালানো হয় সন্ধ্যার পর। দিনের বেলায় সূর্যের আলোতে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়ায় পুষ্টি ও শক্তি পায় চন্দ্রমল্লিকার চারা। কিন্তু রাতে আলো না পেয়ে তার বৃদ্ধি ব্যহত হয় বলে কৃত্রিম আলো ও তাপের ব্যবস্থা করছেন ফুলচাষিরা।

এক চাষি বলেন, ‘ফুল গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য রাতে বৈদ্যুতিক বাল্বের ব্যবহার করতে হয়।’

এদিকে চন্দ্রমল্লিকা চাষে কৃষি মিটারে বিদ্যুতের খরচ গুণতে হয় চাষিদের। পূর্ব মেদিনীপুরের এক ফুলচাষি জানান, প্রতি কাঠা জমিতে চন্দ্রমল্লিকা চাষে ভারতীয় মুদ্রায় ১০ হাজার রুপি খরচ হয়। মূলত স্বচ্ছল ফুলচাষিরা এ পদ্ধতির মাধ্যমে চাষ করেন এবং লাখ লাখ রুপি আয় করছেন।

প্রায় দুই-তিন ধরনের চন্দ্রমল্লিকা ফুল চাষ হয় পূর্ব মেদিনীপুরে। ব্যাপক চাহিদা থাকায় পূর্ব মেদিনীপুর কিংবা পশ্চিমবঙ্গ নয় রাজ্যের বাইরেও এই ফুল সরবরাহ করা হয়।