দুইশ'রও বেশি শ্রমিক কাজ করছিল মধ্য ভেনেজুয়েলার বলিভার প্রদেশের ঐ স্বর্ণখনিতে। খনির গভীরে কাজ করার সময় ধসে পড়ে মাটির দেয়াল। ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে দৌঁড়ে কয়েকজন নিজেদের রক্ষা করতে পারলেও, ভেতরে আটকা পড়েন অনেকে। মাটির সঙ্গে পাথরে চাপা পড়ে প্রাণ হারান বেশ কয়েকজন শ্রমিক।
প্রত্যন্ত অঞ্চলের বুল্লা লোকা জঙ্গলে এই খনির অবস্থান। যা রাজধানী কারাকাস থেকে প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। খনি থেকে সবচেয়ে কাছের শহর লা প্যারাগুয়া। যেখানে নৌকায় যেতে সময় লাগে প্রায় ৭ ঘণ্টা। তাই দ্রুত উদ্ধারকাজ শুরু করতে আনা হয়েছে দুটি হেলিকপ্টার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যৌথভাবে কাজ করছে সামরিক, দমকল বাহিনী ও অন্যান্য সংস্থা।
বলিভার প্রদেশের গভর্নর অ্যাঞ্জেল মার্কানো বলেন, 'দুর্ঘটনার পর খনিতে আটকা পড়ে যায় শ্রমিকদের একটি দল। ভূমিধসের পর অনেকেই পাথর ও মাটির নিচে চাপা পড়ে। তাদের উদ্ধারে সবরকমের সহযোগিতা করছে স্থানীয় প্রশাসন। আহতদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে আশপাশের হাসপাতালে।'
লেকের পাড়ে বসে হতাহত শ্রমিকদের অপেক্ষায় স্বজনেরা। নৌকা করে নিয়ে আসা হচ্ছে হতাহতদের। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহত একজন শ্রমিক বলেন, 'ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে আমি বেঁচে আছি। অলৌকিকভাবে রক্ষা পেয়েছি। আমার পাশেই সহকর্মীদের মরদেহ পড়ে ছিল।'
ভেনেজুয়েলায় কয়েক হাজার শ্রমিক খনির কাজের সঙ্গে জড়িত। যাদের বেশিরভাগই অবৈধ। বলিভার অঞ্চল স্বর্ণ, হীরা, লোহা, বক্সাইট ও কোল্টানের মতো খনিজ সম্পদে সমৃদ্ধ। রাষ্ট্রীয় সংস্থা ছাড়াও এ অঞ্চলে অবৈধভাবে মূল্যবান ধাতু উত্তোলনে জড়িত স্থানীয়রা।
পরিবেশ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এই অঞ্চলে শ্রমিকরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে একই অঞ্চলে খনি ধসে কমপক্ষে ১২ জন প্রাণ হারান।