সুদানের করদোফানে আরএসএফের হামলায় প্রাণহানি বেড়ে ১১৬

সুদানের শহরে বোমা হামলা | ছবি: এখন টিভি
0

সুদানের দক্ষিণ করদোফানের কিন্ডারগার্টেনসহ বেসামরিক স্থাপনায় আধাসামরিক বাহিনী আরএসএফের হামলায় শিশুসহ বেসামরিক নাগরিকদের প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৬ জনে। এদিকে গৃহযুদ্ধ কবলিত দেশটিতে ত্রাণ ও বাণিজ্যিক পণ্য পৌঁছানোর জন্য ব্যবহৃত চাদ সীমান্ত ক্রসিংয়ে অভিযান শুরু করেছে দেশটির সেনাবাহিনী। টেলিগ্রাম বার্তায় সুদানের সশস্ত্র বাহিনী বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছে আরএসএফ। তাদের দাবি, গুরুত্বপূর্ণ এ করিডোরে হামলার জেরে সুদানে মানবিক বিপর্যয় আরও বাড়বে।

২০০৩ সালে দারফুর সংঘাতের পর সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় এ প্রদেশ থেকে বহুমানুষ পার্শ্ববর্তী দেশ চাদে আশ্রয় নেয়। ওই সময় থেকেই সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দফায় দফায় আলোচনা ও প্রতিশ্রুতির আদান প্রদান হয় দুই দেশের মধ্যে। ২০২৫ এর মাঝামাঝি সময়ে সীমান্তে সুদানের শরণার্থী সংকট আরও তীব্র হলেও, চাদ সীমান্তের অ্যাডিকন প্যাসেজ দিয়েই মানবিক সহায়তা ও বাণিজ্যিক পণ্য প্রবেশ করছে গৃহযুদ্ধ কবলিত সুদানে।

ঐতিহাসিক করদোফানের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দখল নিয়ে শুরু হওয়া সংঘাতে মধ্যে এবার চাদ সীমান্ত ক্রসিংয়ে অভিযান শুরু করেছে সুদানের সেনাবাহিনী। গত শুক্রবার টেলিগ্রাম বার্তায় এমন অভিযোগ করেছে আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস আরএসএফ।

সুদান ও চাদের মধ্যে সংযোগস্থাপনকারী এ করিডোরে সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বোমা হামলায় গৃহযুদ্ধ কবলিত দেশটিতে ত্রাণ প্রবেশের একমাত্র পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে তারা। এ হামলার পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নীরবতার সমালোচনাও করেছে আরএসএফ।

আরও পড়ুন:

বেসামরিক নাগরিকদের দুর্ভোগ নিয়ে বার্তা দিলেও সেনাবাহিনীর কবলে থাকা অঞ্চলে হামলা করছে খোদ আরএসএফ ও এর অনুসারীরা। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার দক্ষিণ করদোফানের কিন্ডারগার্টেন, হাসপাতাল ও ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় ড্রোন হামলা চালিয়ে প্রায় অর্ধশত শিশুসহ শতাধিক বেসামরিক নাগরিককে হত্যা করছে আধাসামরিক এ বাহিনীটি।

সুদান সেনাবাহিনীর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার প্রথম দফা হামলার পর দুর্গতদের সহায়তার জন্য সেখানে উপস্থিত হন স্থানীয় কয়েকজন। ঠিক তখনই দ্বিতীয় দফায় সেখানে হামলা করে আরএসএফ।

অক্টোবর নভেম্বরে আল ফাশিরের দখল নিতে প্রায় ২ হাজার বেসামরিক নাগরিককে নির্মমভাবে হত্যা করে সুদানের এ আধাসামরিক বাহিনী। সুনির্দিষ্ট পরিসংখ্যান পাওয়া না গেলেও তৃতীয় বছরে গড়ানো গৃহযুদ্ধে সুদানে প্রাণ গেছে অন্তত লাখ খানেক মানুষের। সহায়-সম্বল হারিয়েছেন ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ আর প্রতিদিন ক্ষুধার সঙ্গে লড়ছেন অন্তত ২ কোটি ৪০ লাখ মানুষ।

এফএস