এবার আগেভাগেই কানাডায় তীব্র শীত জেঁকে বসেছে। ভারী তুষারপাতও হচ্ছে নভেম্বর থেকে। প্রদেশ ভেদে তাপমাত্রা মাইনাস ৫ থেকে মাইনাস ৩০ এর মধ্যে বিরাজ করছে।
এরই মধ্যে আটলান্টিক কানাডার অনেক অঞ্চলে তুষারঝড় বয়ে গেছে। এতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেমন বন্ধ, তেমনি বন্ধ রাখা হয় অনেক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও অফিসও।
উচ্ছ্বসিত এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, ‘মন্দ লাগছে না, তাই না? ডিজনিল্যান্ডে চলে এসেছি।’ স্থানীয়দের মধ্যে আরেকজন বেশ উৎফুল্ল হয়ে বলেন, ‘বছরের প্রথম তুষারপাত বেশ উপভোগ করছি।’ স্থানীয় আরেক বাসিন্দা জানান, পুরো শহরটাই সাদা হয়ে গেছে, এতে দারুণ ভালো লাগছে তার।
আরও পড়ুন:
তুষারঝড়ে বাতাসের গতিবেগ ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার ঘণ্টাপ্রতি রেকর্ড করা হয়। রাস্তায় বরফ জমে ঘটেছে বেশ কিছু দুর্ঘটনাও। অনেকস্থানে গাছ পড়ে বন্ধ হয়ে যায় সড়ক। ফ্লাইট চলাচলেও বিঘ্ন ঘটছে। বেশিরভাগ ফ্লাইটই বিলম্বে ছাড়ে।
বর্তমানে কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে চলছে বড়দিন উদযাপনের আয়োজন। তবে উৎসবের আমেজ কোনো কোনো স্থানে চাপা পড়েছে বিরূপ আবহাওয়ার প্রকোপে, যা প্রভাব ফেলছে অর্থনৈতিক চাঞ্চল্যেও।
তীব্র ঠান্ডা আর তুষারপাতে বিপর্যস্ত কানাডার জনজীবন। শুক্রবার বন্ধ রাখা হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অনেক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানও রাখা হয় বন্ধ। আবহাওয়া দপ্তর বলছে, আগামী কয়েক দিনে বড় ধরনের তুষার ঝড় হওয়ার শঙ্কা রয়েছে।





