গেল জানুয়ারিতে দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউজের মসনদে বসার পর থেকেই অভিবাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর হন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভিবাসীদের দমনের বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছেন শুরু থেকেই। বেশকিছু বড় বড় শহরে ন্যাশনাল গার্ড মোতায়েনসহ ব্যাপক হারে ধরপাকড় চালায় তার প্রশাসন। এরইমধ্যে অবৈধ অভিবাসীদের গ্রেপ্তার করে তাদের পাঠানো হয়েছে নিজ নিজ দেশে।
যুক্তরাষ্ট্রে সংগঠিত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য অভিবাসীদের দিকেই বার বার অভিযোগের আঙুল তুলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। গেল সপ্তাহে ওয়াশিংটন ডিসিতে ন্যাশনাল গার্ডের দুই সদস্যের ওপর আফগান নাগরিকের বন্দুক হামলার পর অভিবাসন নীতিতে আরও কঠোর হন ট্রাম্প। এমন পরিস্থিতির জন্য পূর্বসূরি বাইডেন প্রশাসনের অভিবাসন নীতিকেও দায়ী করে রিপাবলিকান শিবির।
আরও পড়ুন:
এবার ১৯টি দেশ থেকে আসা অভিবাসীদের গ্রিন কার্ড, মার্কিন নাগরিকত্বের প্রক্রিয়াসহ সব ধরনের অভিবাসনসংক্রান্ত আবেদন স্থগিত করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ও জননিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ জানিয়ে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওয়াশিংটন। শুধু তাই নয়, আংশিক ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা এসব দেশের নাগরিকের ক্ষেত্রেও এই স্থগিতাদেশ প্রযোজ্য হবে।
তালিকাভুক্ত দেশগুলোর সবই ইউরোপের বাইরে। আফগানিস্তানসহ এই তালিকায় আছে মিয়ানমার, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, ইয়েমেন, কিউবা, ভেনেজুয়েলাসহ ১৯টি দেশ। এদের মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশের ওপর গেল জুনে কঠোর অভিবাসন নীতি এবং যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল ট্রাম্প প্রশাসন।
অভিবাসন বিধিনিষেধের আওতায় ১৯ দেশ হলো- আফগানিস্তান, মিয়ানমার, শাদ, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, নিরক্ষীয় গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সুদান, ইয়েমেন, কিউবা, ভেনেজুয়েলা, বুরুন্ডি, লাওস, সিয়েরা লিওন, টোগো, তুর্কমেনিস্তান, হাইতি।
অভিবাসন নিয়ে যেসব দেশের নাগরিকদের আবেদন ঝুলে আছে নতুন নীতির আওতায় সেগুলোও স্থগিত থাকবে। মূলত রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অভ্যন্তরীণ সংঘাতের কারণে এসব দেশের নাগরিকরা যুক্তরাষ্ট্রে এসে বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়ায় এমন পদক্ষেপ ওয়াশিংটনের। অভিবাসীদের দ্বারা সংঘটিত সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি অপরাধের কথাও কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
এদিকে, মন্ত্রীসভার এক বৈঠকে সোমালিয়ার অভিবাসীদের আবর্জনা বলে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প। শুধু তাই নয় সোমালিয়াকে দুর্গন্ধযুক্ত দেশ হিসেবেও সমালোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে অভিবাসীদের বিতাড়িত করতে এ পর্যন্ত নানা ধরনের বিধিনিষেধ ও কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত বৈধ অভিবাসন ব্যবস্থা নতুনভাবে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে খুব একটা তৎপরতা দেখা যায়নি ট্রাম্প প্রশাসনের।





