কোনো বৈদ্যুতিক শট সার্কিট বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট আগুন নয় এটি। মূলত রুশ ড্রোন হামলার ফলে লাগা আগুনে দাউ দাউ করে পুড়ছে ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের একটি আবাসিক ভবন। যখন ট্রাম্প প্রস্তাবিত ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি নিয়ে দেন দরবারে ব্যস্ত পশ্চিমা নেতারা, তখনও কিয়েভের বিভিন্ন অংশে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে মস্কো। ইউক্রেন জানায়, মঙ্গলবারে রাতে চালানো এই হামলায় আহত হয়েছে বেশ কয়েকজন।
এদিকে, যুদ্ধবিরতির বিষয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাব করা শান্তি পরিকল্পনার বিষয়ে সাধারণ সমঝোতায় পৌঁছেছে কিয়েভ-ওয়াশিংটন। মঙ্গলবার, ইউক্রেনের ইউরোপীয় মিত্রদের নিয়ে গঠিত কোয়ালিশন অব দ্যা উইলিংয়ে ভার্চুয়ালি যোগ দেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। জানান, মার্কিন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের আলোচনা এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রস্তুত কিয়েভ। তবে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার যেকোনো আলোচনায় কিয়েভের ইউরোপীয় মিত্রদের অন্তর্ভুক্তির আহ্বান জানান তিনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনা জরুরি জেনেভার আলোচনাটি ফলপ্রসূ হয়েছে। সেখানে মিত্র দেশগুলো ইউক্রেন যুদ্ধবিরতির কাঠামো প্রস্তুত করেছে। এটি নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাই। কিছু সংবেদনশীল বিষয়ে তার সঙ্গে আলোচনা জরুরি।’
আরও পড়ুন:
এর আগে, যুদ্ধ অবসানে ট্রাম্পের প্রস্তাবিত ২৮ দফার শান্তি পরিকল্পনায় সংশোধন করে ১৯ দফার একটি পরিকল্পনা দেয় ইউরোপীয় মিত্ররা। তাদের অভিযোগ, আগের প্রস্তাবটিতে শুধু রাশিয়ার স্বার্থ বিবেচনা করা হয়েছিল। যা ইউক্রেনের জন্য আত্মসমর্পণের শামিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের এই প্রস্তাবকে স্বাগত জানান জেলেনস্কি।
এদিকে, নিজের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবে সংশোধনী আনার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এয়ার ওয়ান ফোর্সে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় ট্রাম্প জানান, কিছু বিষয়ে ছাড় দিতে প্রস্তুত রয়েছে মস্কো। এছাড়া, নিজের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবটি চূড়ান্ত ছিলনা বলেও ফের নিশ্চিত করেন ট্রাম্প ।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এটি একটি খসড়া মাত্র। চূড়ান্ত পরিকল্পনা নয়। এটি ২৮ থেকে ২২ পয়েন্টে নেমে এসেছে। অনেকগুলোতে সমাধান এসেছে। সামনে কি হয় তার দিকে তাকিয়ে আছি।’
এছাড়া, যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে পুতিনের সঙ্গে আলোচনার জন্য মার্কিন প্রতিনিধি স্টিভ উইটকভ মস্কো যাবেন বলেও জানান ট্রাম্প।
এর আগে, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ জানান, যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিরতির প্রাথমিক প্রস্তাবকে ক্রেমলিন স্বাগত জানালেও, এতে খুব বেশি পরিবর্তন আসলে ভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে পারে মস্কো। এছাড়া, ইউরোপিয়ান দেশগুলোর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি পরিকল্পনা নস্যাৎ এর অভিযোগও করেন তিনি।





