এ কার্নিভাল হলো উৎসবমুখর এক শোভাযাত্রা, যেখানে শুধুই নানারকম রঙের ছটা। চোখজুড়োনো সব রঙের মিছিলে বাড়তি মাত্রা যোগ করে বাদ্য-বাজনা, নাচ-গান আর আনন্দ।
জার্মানির দুই হাজার বছরের ইতিহাসসমৃদ্ধ কোলন শহর। রাইন নদীর তীরবর্তী শহরটি দেশের পশ্চিমাঞ্চলে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহেই কোলনে হয়ে গেলো জার্মানির অন্যতম প্রধান স্ট্রিট ফেস্টিভ্যাল। সপ্তাহব্যাপী এ উৎসবে ছড়াছড়ি ছিল বাহারি সাজ-পোশাকে বর্ণিল কুচকাওয়াজের।
উৎসবে ঘুরতে আসা দর্শনার্থীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘বাতাসে ভালোবাসা ছড়িয়ে দেয়া হচ্ছে। সবাই সবাইকে এখানে ভালোবাসে, সবাই ঐক্যবদ্ধ। যে কার্নিভ্যালে সবার আনন্দের ভাষা একটি, সেটি কোলন কার্নিভ্যাল।’
আরেকজন বলেন, ‘এখানে উপস্থিত থাকার চেয়ে দারুণ কিছু হয় না। বন্ধুত্বপূর্ণ মানুষে ভরপুর এ জায়গা, মজা লাগছে। দারুণ সব মানুষেরা ঘিরে রেখেছে আমাদের, এটি খুব আনন্দের জায়গা।’
আরও পড়ুন:
অন্যদিকে, লাতিন আমেরিকার দেশ বলিভিয়ায় হলদে-সবুজ তরমুজের মতো ফল পেপিনোর আদলে ভাঁড়ের সাজে মিছিল করেন কয়েকশো মানুষ। বলিভিয়ায় কার্নিভ্যালের ঐতিহ্যবাহী এ চরিত্রটিকে কিছুদিন আগে প্রতিবেশী পেরুর এক উৎসবে ব্যবহার করায় কয়েকদিন ধরেই দ্বন্দ্ব চলছে দুই দেশের মধ্যে, যার রেশ ছিল বলিভিয়ার লা পাজে এ শোভাযাত্রাতেও।
দর্শনার্থীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘পেপিনো বলিভিয়া আমার প্রিয় বলিভিয়ারই থাকবে। এটি পেরুর নয়, আমাদের, শুধুই বলিভিয়ার।’
আরেকজন বলেন, ‘অনেক হয়েছে পেরু। পেপিনো কোনো রপ্তানির পণ্য নয়, এটি লা পাজের পরিচয়।’
প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বলিভিয়ার রাজধানীতে কার্নিভ্যাল শুরু হয় পেপিনোর প্রতীকী পুনর্জাগরণের মধ্য দিয়ে। ঐতিহ্যবাহী উৎসবের কেন্দ্রীয় এ চরিত্রকে পাশের দেশের ধর্মীয় উদযাপনে ব্যবহার হতে দেখে একে নিজেদের সংস্কৃতির ওপর আগ্রাসন হিসেবে দেখছেন সাধারণ বলিভিয়ানরা।





