বড়দিনকে সামনে রেখে প্রতিবছরই ব্যস্ত সময় কাটায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরগুলো। ছুটি কাটাতে পরিবারের কাছে ফিরে যান হাজারো মানুষ।
তবে এবছরে দীর্ঘসময় ধরে চলা সাটডাউনের কারণে অনেকটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে সেই যাত্রা। এরইমধ্যে শুক্রবার থেকে নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, লসঅ্যাঞ্জেলেস ও ফিলাডিলফিয়াসহ দেশটির বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে বাতিল হয়েছে শত শত ফ্লাইট। এতে ৪০টি এয়ারপোর্টে বিমান চলাচল বিঘ্নিত হয়েছে। যা দেশটির মোট ফ্লাইটের ৪ শতাংশ।
শাটডাউন অব্যাহত থাকলে আগামী সপ্তাহের মধ্যে স্থগিত হয়ে যেতে পারে দেশটির ১০ শতাংশ বিমান চলাচল। যার মধ্যে ডেলটা এয়ারলাইন্স, ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, আমেরিকান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট সবচেয়ে বেশি। এতে চরম হাতাশায় যাত্রীরা। ক্ষোভ ঝারছেন ট্রাম্প প্রশাসনের ওপর।
যাত্রীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘বিষয়টি খুবই অপ্রত্যাশিত। এরকমটা হওয়ার কথা নয়। ১০ শতাংশ ফ্লাইট চলাচলা বন্ধ হয়ে গেলে মানুষের ভোগান্তির শেষ থাকবে না।’
আরেকজন যাত্রী বলেন, ‘এক পর্যায়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যাত্রা বন্ধ করার। পরে সিদ্ধান্ত নিলাম, যা হওয়ার হবে। অবশ্যই বিষয়টি অপ্রত্যাশিত।’
আরও পড়ুন:
তবে এ সংকট সমাধানে কাজ করে যাচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। আগামী ৬ সপ্তাহের মধ্যে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল সিস্টেমের ৪টি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করতে যাচ্ছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘সামনের দিনগুলোতে ভালো কিছু হবে বলে আশা করছি। চারটি কোম্পানির সঙ্গে নতুন চুক্তি করতে যাচ্ছি। এই সংকট সমাধানে বিলিয়ন ডলার অর্থ খরচ করা হবে।’
যুক্তরাষ্ট্রে চলমান শাটডাউন এরই মধ্যে ৩৭তম দিন অতিক্রম করেছে। দেশটির ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে দীর্ঘতম শাটডাউন। সরকারের এই অচলাবস্থায় সবাইকে ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করার পরামর্শ মার্কিন প্রেসিডেন্টের।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘যেকোনো দুর্যোগ, ও সংকটময় পরিস্থিতি ঠাণ্ড মাথায় মোকাবিলা করতে হবে। কোনো কিছুকেই এমনি এমনি ছেড়ে দিতে পারি না।’
এরপরও শাটডাউন থেকে দেশকে টেনে তুলতে ব্যর্থ হলে মার্কিন অর্থনীতির ৭ থেকে ১৪ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির শঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি সরকারি ব্যয়ের ঘাটতির কারণে চতুর্থ প্রান্তিকে মোট দেশজ উৎপাদন কমতে পারে দুই শতাংশ।





