১৯৪৯ সালে চীনা গৃহযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর থেকে কিনমেন প্রদেশ তাইওয়ানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। স্নায়ুযুদ্ধ চলাকালীন এ অঞ্চলে কামান দিয়ে নিয়মিত হামলা চালাতো চীনের সামরিক বাহিনী। বাসিন্দাদের নিরাপত্তায় গড়ে তোলা হয় ঝাইশান টানেল, যা আজ কিনমেন প্রদেশের জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্রে রূপ নিয়েছে।
গেলো সপ্তাহে এ সুড়ঙ্গের ভেতরই আয়োজন করা হয় দুই দিনব্যাপী সঙ্গীত উৎসবের। সুড়ঙ্গের ভেতরই প্রতিধ্বনিত হয় বেহালার সুর। ছয়টি আলাদা অনুষ্ঠানের প্রত্যেকটিতে উপস্থিত ছিল দুই শতাধিক শ্রোতা। টানা ১৭ বছর ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে এটি।
উজ্জ্বল রঙের আলোয় আলোকিত সুড়ঙ্গের ভেতরে ছোট নৌকায় ভেসে শিল্পীরা গাইছেন ঐতিহ্যবাহী তাইওয়ানিজ গান। উৎসবের আয়োজক জানান, সঙ্গীত আয়োজন সুড়ঙ্গকে নতুন জীবন দিয়েছে।
শিল্পীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘সুরঙ্গটি নতুন জীবন পেয়েছে। সঙ্গীত এ সুরঙ্গের গল্প বলে। এটি কেবল পর্যটন স্পট নয়, এখান থেকে এসেছে শান্তির বার্তা।’
আরও পড়ুন:
অনুষ্ঠানের ১ হাজার ২০০ টিকিট মাত্র দুই মিনিটের মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়। এ পরিবেশনায় মুগ্ধ দর্শকরা। বেহালার সঙ্গে পানির শব্দ যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা।
দর্শনার্থীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘এ সঙ্গীত পরিবেশনা আসলেই মনোমুগ্ধকর। শক্তিশালী ও অপ্রতিরোধ্য এ পর্যটন স্পট নয়। এখান থেকে এসেছে শান্তির বার্তা।’
আরেকজন বলেন, ‘মনে হচ্ছিল নিজেই যেন একটা বাদ্যযন্ত্রে পরিণত হয়েছি। এখানে এসে সঙ্গীতের আসল সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরেছি।’
চীনা শহর জিয়ামেন এবং কোয়ানঝোয়ের উপকূলে অবস্থিত কিনমেনের ঝাইশান সুড়ঙ্গটি। শক্ত গ্রানাইট পাথরে খোদাই করা সুড়ঙ্গটি মূলত চীনের সঙ্গে তাইওয়ানের সামরিক পদক্ষেপ প্রতিরোধে ডিজাইন করা হয়েছিল।





