যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে আগ্রহী রাশিয়া

ভ্লাদিমির পুতিন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প
ভ্লাদিমির পুতিন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প | ছবি: সংগৃহীত
0

যুদ্ধের চেয়ে সংলাপ ভালো। এমন মন্তব্য করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে রাশিয়া আগ্রহী বলে জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। বিদেশি কোনো চাপের কাছে মস্কো নতি স্বীকার করবে না বলেও জানান তিনি। এদিকে, হোয়াইট হাউজও বলছে, ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠকের সম্ভাবনা এখনো শেষ হয়ে যায়নি। এদিকে, রাশিয়ার জব্দ করা সম্পত্তি অস্ত্র উৎপাদনে কাজে চালাতে চান প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ইউক্রেনের আগামী দুই বছরের আর্থিক চাহিদা পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন ইইউ নেতারা।

যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠক ঘিরে নাটকীয়তা শেষই হচ্ছে না। দুই নেতার ফলপ্রসূ ফোনালাপের পাঁচ দিনের মাথায় শান্তি আলোচনা পরিণত হয় নিষেধাজ্ঞায়। যুদ্ধ অবসানে পুতিনের সদিচ্ছা নেই অভিযোগ তুলে বৈঠক বাতিল করে দেশটির বৃহত্তম দুটি তেল কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এতে, ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে পরিচিত পুতিন আবারও ট্রাম্পের চক্ষুশূল হয়েছেন ট্রাম্পের।

তবে হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ক্যারোলিন ল্যাভিট জানান, দুই নেতার বৈঠকের বিষয়টি এখনো আলোচনায় আছে। এটি যেকোনো দিন হতে পারে। এর মধ্য দিয়ে ইতিবাচক ফল আসবে বলেও আশা করেন তিনি।

রাশিয়ার অভ্যন্তরে হামলার পরিকল্পনা করলে এর প্রতিক্রিয়া ভয়াবহ হবে বলে সতর্ক করেছেন পুতিন। যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো শক্তির কাছে নতি স্বীকার করবে না মস্কো। পুতিনের দাবি, বুদাপেস্টে আলোচনার জন্য ট্রাম্পই তাকে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। রাশিয়া এখনো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে প্রস্তুত আছে।

ইউক্রেনের অভ্যন্তরীণভাবে উৎপাদিত দূরপাল্লার কিছু অস্ত্র ৩ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম বলে জানান দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। তবে সেগুলো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র কিনা তা তা স্পষ্ট করেননি। এ সময় তিনি বলেন, রাশিয়ার হাতে ভূখণ্ড ছেড়ে দেয়ার প্রশ্নই আসে না। এছাড়া, ইউরোপে জব্দ করা রুশ অর্থ দেশীয় অস্ত্র উৎপাদনে ব্যবহারের প্রস্তাব দিয়েছেন জেলেনস্কি।

আগামী দুই বছরের জন্য ইউক্রেনকে অর্থায়নের জন্য নীতিগতভাবে একমত হয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। তবে কীভাবে তা করা হবে তা এখনো নির্ধারিত হয়নি। তবে বিকল্প উপায় খুঁজে বের করতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে কমিশনকে।

রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে চলমান উত্তেজনায় একদিনের ব্যবধানে ব্যারেল প্রতি তেলের দাম বেড়েছে ৬০ ডলারের বেশি। ইইউর নিষেধাজ্ঞায় প্রাকৃতিক গ্যাসের দামও বেড়েছে ৩ শতাংশের বেশি। তবে পুতিন দাবি করেন, জ্বালানি বাজারে ভারসাম্য নষ্ট হলেও খুব একটা ক্ষতি হবে না রুশ অর্থনীতির।

ইএ