যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণে রেকর্ড, শাটডাউন দীর্ঘ হওয়ায় চাপে ট্রাম্প প্রশাসন

ডোনাল্ড ট্রাম্প
ডোনাল্ড ট্রাম্প | ছবি: সংগৃহীত
0

যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির জাতীয় ঋণ রেকর্ড ৩৮ লাখ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে। মার্কিন নাগরিকদের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১১ হাজার ডলারে। মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে ঋণ বেড়েছে ১ ট্রিলিয়ন ডলার। এমন অবস্থায় ১২ বারের মতো বাজেট বিল আটকে যাওয়ায় দীর্ঘ হচ্ছে শাটডাউন। যা চাপে ফেলছে ট্রাম্প প্রশাসনকে।

দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরই অস্থির হয়ে উঠেছে বিশ্ব অর্থনীতি। বাণিজ্য যুদ্ধ ও শুল্ক আরোপে এরইমধ্যে সংকটের মুখে বহু দেশ। তবে এর প্রভাব থেকে যুক্তরাষ্ট্রও বের হতে পারছে না। দিন দিন দেশটির ঘাড়ে চাপছে ঋণের বোঝা।

বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি সরকারি ব্যয় ও রাজস্বের মধ্যে সামঞ্জস্য করতে ব্যর্থ হচ্ছে বার বার। মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে দেশটির জাতীয় ঋণ ১ ট্রিলিয়ন বেড়ে দাঁড়িয়েছে রেকর্ড ৩৮ ট্রিলিয়ন ডলারে। ২০২৪ সালের নভেম্বরে এ ঋণের পরিমাণ ছিলো ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার।

মার্কিন নাগরিকদের মাথাপিছু ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার ডলারে। এছাড়া দেশটির সরকারি ঋণমান নামিয়ে দেয়া হয়। যা ঋণের খেলাপি হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। মার্কিন থিংক ট্যাংক পিটার জি পিটারসন ফাউন্ডেশনের মতে, প্রতিনিয়ত ট্রিলিয়ন ডলার যোগ করে ঋণ বাড়িয়ে সংকটে ফেলছে যুক্তরাষ্ট্রের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে। সংস্থাটি জানায়, ধারাবাহিক বাজেট ঘাটতি ও ক্রমবর্ধমান সুদের খরচ নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হওয়ায় এ অধঃপতন।

আরও পড়ুন:

এদিকে, সংকট যেন পিছু ছাড়ছে না ট্রাম্প প্রশাসনের। উচ্চকক্ষ সিনেটে রিপাবলিকানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও কিছুতে পাস করতে পারছে না সরকারি বাজেট বিল। গতকাল বুধবার ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতাদের বাধায় ১২ বারের মতো আটকে যায় বিলটি। বিল পাসে ৬০ ভোটের প্রয়োজন হলে পক্ষে ভোট পড়েছে মাত্র ৫৪টি আর বিপক্ষে পড়েছে ৪৬টি।

এতে আরও দীর্ঘ হচ্ছে সরকারের অচলাবস্থা। বেতন ছাড়াই চাকরি করতে হচ্ছে জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের। এছাড়া, তহবিলের অভাবে সংকটের মুখে স্বাস্থ্যসেবা, বিমান পরিবহনসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ খাত। এরইমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে সরকারের বেশকিছু পর্যটন ও বিনোদন স্পট।

রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটদের বিভাজনের অচলাবস্থা কাটছে না ট্রাম্প প্রশাসনের। গেলো ১ অক্টোবর দেশটির নতুন অর্থবছর শুরু হলেও সরকারের তহবিল এখন ফাঁকা। সরকার পরিচালনার ব্যয় মেটাতে বাজেট পাসে রীতিমতো সংগ্রাম করছেন রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা।

এফএস