‘ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়’— বহুল প্রচলিত এ প্রবাদটির সঙ্গে পরিচিত কম-বেশি সবাই। আর এটিকে সত্য প্রমাণ করলেন চিলির খরা কবলিত অঞ্চলের এক দম্পতি। ভালপারাইসো অঞ্চলের লস মোসেলে তাদের রয়েছে একটি স্ব-নির্ভর খামার।
শুনতে অবাক লাগলেও এখানে বায়োডাইজেস্টার ব্যবহার করে ভেড়ার মলকে বায়োগ্যাসে রূপান্তর করা হয়। এই গ্যাস ব্যবহার করা হয় রান্নাঘরে। এছাড়া নিজস্ব বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতা রয়েছে খামারটির। প্রায় ৮ বছর ধরে নিজস্ব উৎপাদিত গ্যাস ও বিদ্যুতে চলছে এই খামারটি।
খরা জর্জরিত অঞ্চলে টিকে থাকার লক্ষ্য নিয়ে উদ্যোগটি শুরু করেছিলেন মার্কো অ্যাসিটুনো ও ম্যাকারেনা ভালদেস। বিদ্যুৎ ও গ্যাস উৎপাদনের পাশাপাশি পশুর মল ব্যবহার করে মাটির গুণাগুণও বাড়িয়েছেন এ দম্পতি।
আরও পড়ুন:
মার্কো অ্যাসিটুনো বলেন, ‘প্রায় ১২ বছর ধরে আমরা পর্যাপ্ত বৃষ্টি পাই নি। জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের শিখিয়েছে কীভাবে প্রতিকূল পরিবেশে বাঁচতে হয়। পশুর মল ও পিচবোর্ড ব্যবহার করে মাটিতে পরিবর্তন এনেছি। এখন খামারে তিন শতাধিক গাছ রোপণ করেছি। আগে যা অসম্ভব ছিল।’
ম্যাকারেনা ভালদেস বলেন, ‘আমরা আগামী প্রজন্মকে এমন কিছু সরঞ্জাম দিয়ে যেতে চাই, যা তাদেরকে জলবায়ু পরিবর্তন ও পানির সংকটের মতো মুহূর্তগুলোকে মোকাবেলা করতে সহায়তা করবে।’
তাদের খামারের এই মডেল এরই মধ্যে অর্জন করেছে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। ২০২২ সালে ইন্টার আমেরিকান ইনস্টিটিউট ফর কো-অপারেশন অন এগ্রিকালচার (আইআইসিএ) তাদেরকে আমেরিকার গ্রামীণ নেতা হিসেবে মনোনীত করেছে। এছাড়া এ বছর এল সালভাদরের রাষ্ট্রপতি নায়েব বুকেলের প্রশংসাও পেয়েছেন তারা।
চলতি বছর নভেম্বরে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জলবায়ুর শীর্ষ কোপ সম্মেলনে নিজেদের উদ্ভাবনী মডেল উপস্থাপনের জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছে এ দম্পতি।




