রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ: কূটনৈতিক সমাধানে সন্দিহান ইউক্রেনবাসী

ভ্লাদিমির পুতিন ও ভলোদিমির জেলেনস্কি
ভ্লাদিমির পুতিন ও ভলোদিমির জেলেনস্কি | ছবি: সংগৃহীত
0

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ কূটনৈতিক উপায়ে সমাধানের বিষয়ে সন্দিহান ইউক্রেনবাসী। তাদের মতে রাশিয়ার ওপর চাপ প্রয়োগ ছাড়া যুদ্ধ বন্ধ হবে না। ট্রাম্প-পুতিনের সম্ভাব্য বৈঠকেও সমাধান আসবে না বলে মনে করেন ইউক্রেনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা। এদিকে, ইউক্রেন যুদ্ধ বিস্তৃত হওয়ার শঙ্কায় আত্মরক্ষায় রিজার্ভ সেনাদের প্রশিক্ষণ দেয়া শুরু করেছে প্রতিবেশী দেশ রোমানিয়া।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ছাড়া আর কেউ এগিয়ে আসেননি। তবে কয়েক দফা উদ্যোগ নিয়েও সমাধান খুঁজে বের করতে পারছেন না ট্রাম্প। যুদ্ধ বিস্তৃত নয়, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান চায় ট্রাম্প প্রশাসন। প্রায় ৪ বছরে গড়াতে যাওয়া যুদ্ধে এরইমধ্যে ইউক্রেনের অনেকটা জমি দখল করে ফেলেছে রাশিয়া।

ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ফোনালাপে ট্রাম্পের কাছে দখলকৃত অঞ্চলগুলো না ছাড়ার শর্ত দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এ সময় পুতিন বলেন, যুদ্ধ বন্ধে রাজি তিনি। তবে পূর্ব ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চল দনেৎস্কের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চায় মস্কো। গেল ১১ বছর ধরে চেষ্টা করেও এই অঞ্চল দখলে নিতে পারছেন না পুতিন। ইউক্রেনের দাবি, দনেৎস্ক রাশিয়ার হাতে চলে গেলে ওই পথ ধরে রাজধানী কিয়েভে রুশ সেনারা সহজেই ঢুকে পড়বে।

দনেৎস্ক ছাড়াও ইউক্রেনের খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ চেয়েছেন পুতিন। এই দুই অঞ্চলের আংশিক রুশ সেনাদের দখলে রয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এ প্রস্তাবে রাজি হওয়ার সম্ভাবনা নেই ইউক্রেনের। এদিকে, ট্রাম্প জোর দিয়ে বলছেন কূটনৈতিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে এই যুদ্ধ বন্ধ সম্ভব। সেই লক্ষ্যেই পুতিনের সঙ্গে বৈঠক হবে বলে জানান তিনি।

তবে ট্রাম্পের বার্তায় বিশ্বাস নেই ইউক্রেনবাসীর। কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনা নিয়ে সন্দিহান কিয়েভের সাধারণ মানুষ। তাদের মতে, যুদ্ধ থামানোর একমাত্র উপায় রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ।

ইউক্রেনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবাও যুদ্ধের অবসান নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তার মতে, ট্রাম্প ও পুতিনের বৈঠকে কোনো চুক্তি হওয়ার সম্ভাবনাও নেই।

এদিকে, প্রতিবেশী দেশ রোমানিয়ায় রিজার্ভ সেনাদের সামরিক দক্ষতা বাড়ানোর লক্ষ্যে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধ বিস্তৃত হতে পারে এমন শঙ্কায় আত্মরক্ষায় প্রস্তুতি সেরে রাখছে দেশটি। এসব সেনারা নানা পেশায় যুক্ত। যুদ্ধের সময় দেশকে রক্ষায় যেন এগিয়ে আসতে পারে, এজন্য তাদের খণ্ডকালীন সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।

ইএ