এবার শিকাগোতে ৩০০ সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিলেন ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের শহরে টহল দিচ্ছে সেনারা
যুক্তরাষ্ট্রের শহরে টহল দিচ্ছে সেনারা | ছবি: এখন টিভি
0

আইনি বাধায় পোর্টল্যান্ডে সেনা মোতায়েন সাময়িকভাবে স্থগিত হয়েছে। তবে এবার শিকাগোতে তিনশো সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শিকাগোতে ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী অবস্থানের বিরুদ্ধে হওয়া বিক্ষোভ, সংঘর্ষে রূপ নেয়ার পর এ ঘোষণা দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসনবিরোধী অবস্থানের বিরুদ্ধে এখনও উত্তাল যুক্তরাষ্ট্র। শিকাগোতে গত শনিবার ফেডারেল অভিবাসন এজেন্টদের বিরুদ্ধে মুখোমুখি অবস্থান নেয় বিক্ষোভকারীরা। এসময় সশস্ত্র এক নারীর ওপর গুলি চালায় মার্কিন সীমান্তরক্ষী বাহিনী। এতে আরও বেশি ফুঁসে ওঠেন আন্দোলনকারীরা।

এক পর্যায়ে অভিবাসন বিষয়ক সংস্থার (আইস) সদস্যদের সঙ্গে ঘটে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট ছোড়েন আইস সদস্যরা। সংঘর্ষ থামাতে এগিয়ে আসে শিকাগোর পুলিশ কর্মকর্তারাও। রীতিমতো রণক্ষেত্রে রূপ নেয় শিকাগোর ব্রাইটন পার্ক এলাকা।

বিক্ষোভকারীদের একজন বলেন, ‘তাদের এ পদক্ষেপে কেউ নিরাপদ বোধ করছেন না। তারা তা যেনেও এমনটা করছে। তাই আমাদের এ ফ্যাসিবাদী, কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’

গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ওই নারীসহ একদল বিক্ষোভকারী আইসের গাড়ির ওপর নিজেদের গাড়ি তুলে দিলে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। যদিও এতে কোনো আইস সদস্য আহত হননি বলেও জানা গেছে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায়, সেজন্য শিকাগোতে তিনশো ন্যাশনাল গার্ড সেনা মোতায়েনের অনুমোদন দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

আরও পড়ুন:

অরেগনের পোর্টল্যান্ড শহরের একজন ফেডারেল বিচারক ট্রাম্প প্রশাসনের দুইশো সেনা মোতায়েনের পদক্ষেপ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন। ডেমোক্রেটদের আধিপত্য থাকা শিকাগোতেও সেনা মোতায়েন করায় আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের। শিকাগোই সবশেষ শহর, যেখানে সেনা মোতায়েনের বিতর্কিত পদক্ষেপ নিলেন ট্রাম্প।

এর আগে ওয়াশিংটন, লস অ্যাঞ্জেলেস, মেমফিস ও পোর্টল্যান্ডে সেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেয়া হয়। এমনকি প্রয়োজনে পোর্টল্যান্ডে মোতায়ন করা সেনাদের পূর্ণশক্তি প্রয়োগের অনুমোদনও দেন ট্রাম্প। প্রেসিডেন্টের এসব পদক্ষেপের চরম বিরোধিতা করে যাচ্ছেন ডেমোক্রেট আইনপ্রণেতারা। এ পদক্ষেপকে ক্ষমতার অপব্যবহার বলেও আখ্যা দেয়া হচ্ছে।

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসেই দেশ থেকে অভিবাসীদের বিতাড়িত করতে উঠে পরে লেগেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অভিবাসীদের যুক্তরাষ্ট্র থেক বের করে দেয়ার এ দায়িত্ব পালন করছে মার্কিন অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা (আইস)। এরইমধ্যে ৭ মাসে দুই লাখ অভিবাসীকে বিদায় করেছে এ বিভাগ। আর অভিবাসীদের বিতাড়িত করতে রীতিমত চিরুনি অভিযান চলছে ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতাদের অঙ্গরাজ্য বা শহরগুলোতে।

এফএস