ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে পাকিস্তানে বিক্ষোভ, মামলা প্রত্যাহারের দাবি

ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ
ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ | ছবি: সংগৃহীত
0

পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিশাল বিক্ষোভ হয়েছে পেশোয়ারে। সমাবেশে অংশ নেয় হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক। এতে যোগ দেন ইমরানের বোন আলিমা খান। সমাবেশে কারাবন্দী পিটিআই নেতার বিরুদ্ধে সব মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান সবাই। দেয়া হয় সরকার বিরোধী স্লোগানও।

দিন গড়িয়ে রাত। তবুও কারাবন্দী পিটিআই নেতা ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে উত্তাল পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ার পেশোয়ার শহর। স্লোগানে স্লোগানে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। দেয়া হয় সরকার বিরোধী স্লোগানও।

কারাগারে থেকে মুক্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আন্দোলন বেগবান করার বার্তা দিয়েছেন ইমরান খান। বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয়ার সময় এটিতে জাতির স্বাধীনতার আন্দোলন হিসেবে বর্ণনা করেছেন কারাবন্দী পিটিআই নেতা। তাই প্রিয় নেতার ডাকে সারা দিয়ে রাস্তায় নেমেছেন সমর্থকরা।

খাইবার পাখতুনখোয়া ছাড়াও, পাঞ্জাব, সিন্ধু, বেলুচিস্তান, গিলগিট-বালতিস্তান, পাকিস্তান শাসিত কাশ্মীর এবং রাজধানী ইসলামাবাদ থেকেও ছুটে এসেছেন কয়েক হাজার জনতা। এখন ইমরান খানের মুক্তি নিশ্চিতে আদিয়ালা কারাগারের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করার আহ্বান জানিয়েছেন তার বোন আলিমা খান।

আরও পড়ুন:

আলিমা খান বলেন, ‘ইমরান খানের জন্য সবাই এখানে জড়ো হওয়ায় ধন্যবাদ জানাই। তবে সবার উচিত আদিয়ালায় পৌঁছানো। সেখান থেকে ইমরান খানকে মুক্ত না করা পর্যন্ত প্রতিবাদ জানানো উচিত।’

ইমরান খানসহ কারাবন্দী তেহরিক-ই-ইনসাফের সব সদস্য এবং সাধারণ জনগণের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য পাকিস্তানের বিচার বিভাগের প্রতি জোর আহ্বানও জানানো হয়েছে এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে।

খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্দাপুর বলেন, ‘বিচার বিভাগের উচিত সংবিধান অনুসারে ন্যায়বিচার করা। ন্যায়বিচার করা বিচার বিভাগের দায়িত্ব। ইমরান খান এবং তার স্ত্রীকে সংবিধান অনুসারে ন্যায়বিচার দেয়া হোক। তেহরিক-ই-ইনসাফের সকল সদস্য এবং ২৫ কোটি পাকিস্তানি জনগণের জন্যও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা হোক।’

২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর ২০২২ সালে সংসদে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন পিটিআই প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক ক্রিকেট তারকা ইমরান খান। পরের বছর ঘুষের মামলায় আটক ও সাজাপ্রাপ্ত হন তিনি। বর্তমানে কারাবন্দী ইমরানের বিরুদ্ধে রয়েছে দেড় শতাধিক মামলা।

ইএ