ব্রিক লেনে ভোজনরসিকদের ফেরাতে তিন দিনব্যাপী ‘কারি ফেস্টিভ্যাল’

ব্রিক লেনে কারি ফেস্টিভ্যাল
ব্রিক লেনে কারি ফেস্টিভ্যাল | ছবি: এখন টিভি
0

লন্ডনের বাংলা টাউনের ব্রিক লেন। নাম শুনলেই মনে পড়ে ব্রিটিশ কারি শিল্পের স্বর্ণযুগের কথা। একসময় এ শিল্প শুধু খাবারের স্বাদেই নয়, ব্রিটেনের অর্থনীতিতেও রেখেছিল গুরুত্বপূর্ণ ছাপ। তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হারাতে বসেছিল সেই জৌলুস। ভোজনরসিকদের আবারও ব্রিক লেনে আনার উদ্দেশে এবার আয়োজন করা হয়েছে তিন দিনব্যাপী ব্রিক লেন কারি ফেস্টিভ্যাল।

হাজারো মানুষের সমাগম আর বর্ণিল আয়োজনে অনুষ্ঠিত হলো ব্রিকলেন কারি ফেস্টিভ্যাল। পূর্ব লন্ডনের কারি রাজধানী খ্যাত ব্রিকলেনে তিনদিন ব্যাপী এই উৎসবে মানুষকে আকৃষ্ট করে বাংলা টাউনের ঐতিহ্য, স্বাদ আর বৈচিত্র্যকে।

সাংস্কৃতিক আয়োজন আর বাহারী শোভাযাত্রায় উৎসবমূখর হয়ে উঠে পরিবেশ। টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল ও বাংলা টাউন বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ আয়োজনে অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা কারি শিল্পকে আরও সমৃদ্ধ করতে নানা দিক নির্দেশনা দেন।

টাওয়ার হ্যামলেটসের নির্বাহী মেয়র লুতফুর রহমান বলেন, ‘আমরা স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সাহায্য করতে চাই। আমরা কারি ইন্ডাস্ট্রির পাশে দাঁড়াতে চাই। এখান থেকে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হয়।’

যুক্তরাজ্য বাংলাদেশ হাইকমিশনারের কাউন্সিল আবিদা ইসলাম বলেন, ‘বাংলাদেশের অনেক প্রোডাক্ট আছে যেগুলো জিআই রিকগনিশন পেয়েছে। সেগুলোর মার্কেটিং করতে পারি আমরা এখানে।’

আরও পড়ুন:

ব্রিকলেনের কারি সংস্কৃতিকে নতুনভাবে তুলে ধরতে দীর্ঘ প্রায় এক দশক অর্থাৎ ২০১৬ সালের পর আবারও কারি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। ধারাবাহিকতা রাখতে চান আয়োজকরা।

বাংলা টাউন বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট গোলজার খান বলেন, ‘ব্রিকলেনকে ধরা যায় দ্বিতীয় বাংলাদেশ। একে ইউরোপের কারি ক্যাপিটালও বলে। আমাদেরই এ সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। আমাদের পূর্বপুরুষরা এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল।’

টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিলের ক্যাবিনেট মেম্বার কাউন্সিলর আবু তালহা চৌধুরী বলেন, ‘আমরা খুবই আনন্দিত কারণ অনেকে এখানে একত্রিত হয়েছেন এখানে বিনোদনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আপনারা যারা এখনো আসেননি দ্রুত চলে আসুন।’ 

যুক্তরাজ্যের প্রায় ৯০ হাজার রেস্টুরেন্টের এই সাম্রাজ্য প্রতিবছর দেশের অর্থনীতিতে অবদান রাখে ৯৩ বিলিয়ন পাউন্ড। এর মধ্যে বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেস্টুরেন্টগুলোই যোগান দেয় প্রায় সাড়ে ৪ বিলিয়ন পাউন্ড। শুধু খাবার নয়, এই শিল্প প্রজন্মের ঐতিহ্য, শ্রম ও স্বপ্ন মিলিয়ে গড়ে তুলেছে এক নিঃশব্দ অর্থনৈতিক বিপ্লব।

এসএইচ