এতোদিন পুতিনকে নিজের বন্ধু ও রাশিয়ার পক্ষে কথা বলে আসলেও হুট করেই ইউক্রেনের পক্ষ নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অবস্থান বদলে পুতিন বাহিনীকে কাগুজে বাঘ বলে খোঁচাও দিয়েছেন তিনি। ট্রুথ সোশ্যালের এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে রাশিয়া উদ্দেশ্যহীনভাবে যুদ্ধ করছে। যা এক সপ্তাহেই জয় করা উচিত ছিল।
এখানেই থামেননি ট্রাম্প। তার মতে, মস্কো এখন বড়সড় অর্থনৈতিক সমস্যায় আছে। ইউক্রেনের উচিত এখনই হামলা জোরদার করা। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থনে যুদ্ধ জয় এবং হারানো অঞ্চল ইউক্রেন পুনরুদ্ধার করতে পারবে বলে আশা করেন তিনি।
ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়ায় ক্রেমলিন মুখপাত্র বলেন, রাশিয়া বাঘ নয়, সত্যিকারের ভালুক। যুদ্ধে ইউক্রেনের জয়ের কোনো সম্ভাবনা নেই। এখন যুদ্ধ বিস্তৃত করা ছাড়া রাশিয়ার সামনে আর কোনো বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন দিমিত্রি পেসকভ।
মস্কো আরও জানিয়েছে, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার পরও স্থিতিশীল আছে রুশ অর্থনীতি। ইউক্রেনে আগ্রাসন বাড়ানোর মতো যথেষ্ঠ সক্ষমতা রাশিয়ার আছে। এ সময় ক্রেমলিন মুখপাত্র জানান, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়িক স্বার্থেই ইউরোপের দেশগুলোকে রুশ জ্বালানি কিনতে বাধা দিচ্ছেন ট্রাম্প।
আরও পড়ুন:
ক্রেমলিন জানায়, গেল মাসে আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠকে সত্যিকার অর্থে কোনো ফল আসেনি। দুই দেশের সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াও অনেকটা ধীর গতিতে এগুচ্ছে। কারণ, উভয় দেশেরই কিছু বিষয়ে বিতর্ক রয়েছে।
এদিকে, ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি সতর্ক করে বলেছেন, ভ্লাদিমির পুতিনকে এখনই না থামালে যুদ্ধ ইউরোপে আরও বিস্তৃত হবে। কারণ হিসেবে তিনি যুক্তি দেখিয়েছে, এরইমধ্যে ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর আকাশসীমায় প্রবেশ করে হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। ক্রিমিয়াকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে বিশ্ব নেতাদের সমর্থন চেয়েছেন ভলোদিমির জেলেনস্কি।
ট্রাম্পের নাটকীয় অবস্থান পরিবর্তনে বিষ্মিত ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ। তাদের মতে, ঘন ঘন পক্ষ পরিবর্তন করা ট্রাম্পের অভ্যাস। এটি উচ্ছ্বসিত হওয়ার কিছু নেই।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ফাঁকে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। যদিও কি বিষয়ে তাদের আলোচনা তা বিস্তারিত কিছুই জানানো হয়নি।
শান্তি আলোচনা নিয়ে যখন গোটা ইউরোপ ব্যস্ত তখন হামলা জোরদার করেছে রাশিয়া। বুধবার ইউক্রেনের সামরিক বাহিনীর একটি বিদ্যুতকেন্দ্র ধ্বংস করে দেয় রুশ বাহিনী।





