টাইফুন রাগাসার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন

রাগাসার আঘাত
রাগাসার আঘাত | ছবি: সংগৃহীত
0

সুপার টাইফুন রাগাসার তাণ্ডব শেষ হওয়ার পর ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর জনজীবন। বিমানবন্দর থেকে শুরু করে ব্যবসা-বাণিজ্য সচল হতে শুরু করেছে। তবে এখনো রয়ে গেছে ক্ষয়ক্ষতির চিহ্ন। হাসপাতালগুলোতে চিকিৎসা নিচ্ছেন শতাধিক আহত মানুষ।

হংকংয়ে থেমে গেছে টাইফুন রাগাসার তাণ্ডব। ভয়াবহ আঘাত সামলে ধীরে ধীরে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে দেশটির বিভিন্ন শহর। টানা ৩৬ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আবারও সচল হয়েছে হংকং আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। আজ (বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ফ্লাইট চালু হয়। একসঙ্গে তিনটি রানওয়ে ব্যবহার করে দিনে এক হাজারের বেশি ফ্লাইট পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে কর্তৃপক্ষ। ফলে ভিড় বেড়েছে বিমানবন্দরে।

পর্যটকদের একজন বলেন, ‘আমার ফ্লাইট ছিল মঙ্গলবার। সোমবার জানানো হয় ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছে। আমার সফরটি আরও দুইদিন বেশি হতে পারতো এখন আমাকে সবকিছু নতুন করে পরিকল্পনা করতে হবে।’

আরও পড়ুন:

আরেকজন বলেন, ‘আমি কিছুটা উদ্বিগ্ন ছিলাম। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে হংকংয়ে এসেছিলাম। ফিরে যাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম। একদিন দেরিতে ফিরতে পারছি।’

খুলে দেয়া হচ্ছে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যানবাহন চলাচলও শুরু হয়েছে। পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে তাইওয়ানেও। শহর পুনরুদ্ধার কাজে সহায়তায় কাজ করছে সেনা সদস্যরাও।

দেশটির পূর্ব উপকূলের শহর কাদায় ঢেকে যাওয়ায় আগের অবস্থায় ফেরাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। পানির সরবরাহ না থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে।

বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘আমাদের নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছিলো। ফিরে এসে দেখি সব জায়গায় কাদা। আলমারি ভেঙে পড়েছে। সবকিছুই নষ্ট হয়ে গেছে।’

আরেকজন বলেন, ‘পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর নিজেদেরই ভূগর্ভস্থ পরিষ্কার পানির সন্ধান করতে হচ্ছে। পাশাপাশি বোতলজাত পানিও কিনতে হচ্ছে।’

চীনের প্রযুক্তি কেন্দ্র শেনঝেনেও টাইফুন রাগাসার বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে। প্রচণ্ড ঝড়ে গাছ উপড়ে পুরো শহরই অচল হয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল।

উদ্ধারকর্মীদের রাস্তায় পড়ে থাকা গাছের ডাল কেটে সরাতে দেখা গেছে। টাইফুনে শেনঝেন ছাড়াও গুয়াংজুসহ আরও বেশ কয়েকটি প্রদেশেও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

তবে এখনও বিপদ কাটেনি চীনের। রাগাসার তাণ্ডব শেষ হলেও আবহাওয়াবিদরা বলছেন, শিগগিরই আরও শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানতে পারে চীনের দক্ষিণাঞ্চলে।

সেজু