বন্যা নিয়ন্ত্রণ কেলেঙ্কারির জেরে সেপ্টেম্বরের শুরু থেকে চলমান প্রতিবাদের জেরে এরমধ্যেই দেশটির কংগ্রেসের উভয় কক্ষেই নেতৃত্বের পরিবর্তন ঘটতে শুরু হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রের চাচাতো ভাই হাউজ স্পিকার মার্টিন রোমাল্ডেজ, সম্প্রতি তদন্ত শুরুর পর পদত্যাগ করেছেন। প্রেসিডেন্ট ফার্দিনান্দ মার্কোস জুনিয়রও এর আগে অনেক প্রকল্পকে ঘুষের উৎস হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে কী পরিমাণ অর্থ চুরি হয়েছে তা নির্ধারণের।
নেপালের পর এবার ফিলিপিন্সেও বইছে জেন-জি প্রজন্মের ডাকা দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের ঝড়। বন্যার উদ্দেশে বরাদ্দ তাহবিলে নেতা-মন্ত্রী ও সরকারি আমলাদের দুর্নীতিতে ফুঁসে উঠেছে সাধারণ জনতাও। ঘোষণা দিয়ে রোববার সকাল থেকে রাজধানী ম্যানিলার রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার মানুষ। প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগানে স্লোগানে ছড়াচ্ছে উত্তেজনা।
এমন পরিস্থিতিতে রাজধানীসহ সারাদেশে ৫০ হাজারেরও বেশি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। বন্যা নিয়ন্ত্রণ জালিয়াতির প্রতিবাদে বেশ কয়েকদিন ধরে চলমান আন্দোলন এখন সরকারবিরোধী বিক্ষোভে রূপ নিয়েছে। কষ্টার্জিত অর্থ থেকে দেয়া করের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন প্রকল্পের নামে দুর্নীতি কিছুতেই মেনে নেয়া হবে না বলে জানান বিক্ষোভকারীরা।
চলতি মাসের শুরুতে একটি নির্মাণ সংস্থা প্রায় ৩০ জন হাউজ সদস্য এবং গণপূর্ত ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নগদ অর্থ গ্রহণের অভিযোগ এনেছেন। এরপর দেশটির অর্থ বিভাগ জানায়, বন্যা নিয়ন্ত্রণ প্রকল্পে দুর্নীতির কারণে ২০২৩ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দুই বিলিয়ন ডলার সমপরিমাণ ক্ষতি হয়েছে। তবে পরিবেশবাদী সংস্থা গ্রিনপিস তাদের এক প্রতিবেদনে দাবি করে-দেশটির জলবায়ুসংক্রান্ত প্রকল্পগুলোতে ক্ষতির পরিমাণ আসলে প্রায় ১৮ বিলিয়ন ডলার। এরপর থেকেই মূলত শুরু হয় বিক্ষোভ।
আরও পড়ুন:
এদিনে সরকারের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ পেরুর জেন-জি প্রজন্মও। পেনশন সংস্কার ইস্যুতে প্রশাসনের অনীহা ও দেশজুড়ে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছেন তারা। প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তের শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে স্লোগান দিতেই পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে ওঠে। পুলিশের সঙ্গে ঘটে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা। জেনারেশন জি মার্চ শীর্ষক এ প্রতিবাদ কর্মসূচি দমাতে কাঁদানে গ্যাস ও শিল্ড ব্যবহার করেছে পুলিশ। এ অবস্থায় শনিবারের পর রোববারও বিক্ষোভ জারি রাখার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভে উত্তাল নেদারল্যান্ডসও। শনিবার হেগে শহরে অভিবাসন বিরোধী আন্দোলনে নামায় বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। বিক্ষোভ সমাবেশের নিয়ম ভঙ্গ ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে আটক করা হয়েছে অন্তত ৩০ জনকে। পুলিশ সহ অনেকে আহত হওয়ারও খবর পাওয়া গেছে। পুলিশের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধরা। এ ধরনের সহিংসতা মেনে নেয়া হবে না বলে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী ডিক স্কুফ।





