হত্যাযজ্ঞ বাড়ানোর পরও ইসরাইলকে ৬৪০ কোটি ডলারের অস্ত্র দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

গাজায় ইসরাইলের নির্মম হত্যাযজ্ঞ চলছেই
গাজায় ইসরাইলের নির্মম হত্যাযজ্ঞ চলছেই | ছবি: সংগৃহীত
0

গাজায় ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞ চলছেই। আজ (শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ২০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল। হত্যা ও ধংসযজ্ঞের মাত্রা বাড়ানোর পরও ইসরাইলের কাছে ৬৪০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে আগামীকাল (রোববার, ২১ সেপ্টেম্বর) নিউ ইয়র্কে যাচ্ছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। ইউরোপের আরও বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে এ তালিকায় যুক্ত হলো পর্তুগালও।

গাজা সিটি দখলে এভাবেই হত্যা ও ধংসযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। শনিবার সকাল থেকে স্কুলসহ বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে শিশুসহ বহু নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করছে তারা।

ভয়াবহ এ আগ্রাসনের মধ্যেও ইসরাইলের শক্তি আরও বাড়াচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। পেন্টাগনের একাধিক সূত্রের বরাতে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের কাছে নতুন করে ৬৪০ কোটি ডলারের অস্ত্র বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এ চালানে থাকছে অস্ত্র-গোলাবারুদের পাশাপাশি হামলায় ব্যবহার উপযোগী হেলিকপ্টার এবং ট্যাংকও।

এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ২২ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে রোববার নিউ ইয়র্কে যাচ্ছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। এতে করে ফ্রান্সে থাকা ইহুদিরা অস্তিত্ব সংকটে ভুগলেও, ফরাসি প্রেসিডেন্টের পদক্ষেপে খুশি মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষেরা।

মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষদের মধ্যে একজন বলেন, ‘আমরা মনে করিছি এই স্বীকৃতিতে ফ্রান্সে জনসাধারণের মধ্যে বিতর্কের জন্ম নেবে। এটি অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়। তাই আশঙ্কা জনসাধারণের মাঝে উত্তেজনাও ছড়িয়ে পড়তে পারে। এমনকি এ স্বীকৃতি দুর্ভাগ্যবশত ইহুদিদের জন্য একটি কঠিন এবং নিপীড়নমূলক পরিবেশ তৈরি করবে।

আরও পড়ুন:

তিনি কিছুটা দেরিতে হলেও এ সিদ্ধান্ত নেয়ায় আমরা তাকে অভিনন্দন জানাতে চাই। তবে আমাদের মনে রাখতে হবে যে ফ্রান্স ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য ১৪৮তম দেশ। এছাড়া এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় অগ্রাধিকার হল গাজায় গণহত্যা এবং ক্ষুধায় মারা বন্ধ নিশ্চিত করা।

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে ফ্রান্সের দেখানো পথে হাটছে ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, বেলজিয়াম, স্পেন, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে। ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে পর্তুগালও। তবে ইসরাইল শান্তি প্রক্রিয়ায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হলে এ পথ থেকে পিছু হটার আভাস দিয়েছে ব্রিটেন।

এদিকে গাজায় ইসরাইলি আগ্রাসন বন্ধে ইয়েমেনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে লাখো মানুষ। এসময় গাজা ও ইয়েমেন ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে চালানো ইসরাইলি হামলার প্রতিবাদ জানানো হয়।

বিক্ষোভকারীদের মধ্যে একজন বলেন, ‘ইয়েমেনের বিরুদ্ধে বারবার হামলা চালালেও আমরা এভাবেই ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাবো। তারা গাজায় আগ্রাসন বন্ধতো করছেই না কাতারের মতো মধ্যস্থতাকারী দেশেও হামলা চালিয়েছে। ইয়েমেনিরা গাজার পক্ষে অবিচল। ফিলিস্তিনি জনগণকে সমর্থনে আমরা জীবন দিতে রাজি।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজার ৬৫ হাজার নিরীহ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরাইল।

এসএইচ