শত বছর আগে ফ্রান্সের উপনিবেশ থেকে মুক্ত হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের সঙ্গে বিরোধ লেগে আছে কম্বোডিয়ার। দেশ দুটির স্থল সীমান্তের দৈর্ঘ্য ৮১৭ কিলোমিটার। অমীমাংসিত ও বিতর্কিত বেশ কয়েকটি অঞ্চল নিয়ে প্রায়ই সংঘর্ষে জড়ায় তারা। গেলো জুলাইয়ে সীমান্ত উত্তেজনা রূপ নেয় রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে। পাঁচ দিনের যুদ্ধে প্রাণ হারান অন্তত অর্ধশত। বাস্তুচ্যুত হয় কয়েক লাখ বাসিন্দা।
গেলো ২৮ জুলাই মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। এরপর থেকে অনেকটা শান্ত ছিলো দুই দেশের সীমান্ত। তবে থাইল্যান্ডের সা কেও প্রদেশের বিতর্কিত সীমান্ত অঞ্চলটি বরাবরই নিজেদের বলে দাবি করে আসছে কম্বোডিয়া। সম্প্রতি সেখানে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করে থাই কর্তৃপক্ষ। যা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই সীমান্তের দুই পাশের বাসিন্দাদের মধ্যে উত্তেজনা চলছে।
আরও পড়ুন:
আজ (বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর) হুট করেই সংঘর্ষে জড়ায় দুই দেশের বাসিন্দারা। এ সময় কম্বোডিয়ার গ্রামবাসীর ওপর কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপের অভিযোগ ওঠে থাই পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের গুলিতে আহত হন কম্বোডিয়ার বেশ কয়েকজন। অন্যদিকে থাইল্যান্ডের দাবি, সংঘর্ষে তাদেরও বহু সেনা আহত হয়েছেন।
কম্বোডিয়ার এক বাসিন্দা বলেন, ‘কেন কম্বোডিয়ান নাগরিকদের সঙ্গে এমন আচরণ করা হচ্ছে? আমরা সবাই বৌদ্ধ। কেন এতো সংঘাত।’
কম্বোডিয়ান সরকারের অভিযোগ, থাইল্যান্ডের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সীমান্ত অতিক্রম করে নিরীহ গ্রামবাসীর ওপর হামলা চালায়। দেশটির প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট আঞ্চলিক সংঘাত বন্ধে বিশ্ব নেতাদের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। এছাড়া আঞ্চলিক জোট আসিয়ানের কাছেও অভিযোগ করে বলা হয়, থাইল্যান্ড একতরফাভাবে উত্তেজনা বাড়িয়ে সীমান্তকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলছে।
এদিকে থাই সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, কম্বোডিয়ার দুই শতাধিক বিক্ষোভকারী সীমান্তে উত্তেজনা বাড়াতে উস্কানিমূলক আচরণ করে আসছে। তাদের দমাতে বাধ্য হয়ে থাইল্যান্ড শক্তি প্রয়োগ করেছে বলেও দাবি করা হয়।
গেলো জুলাইয়ে যুদ্ধবিরতির ঘোষণার পর দুই দেশের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় সংঘাতের ঘটনা। উত্তেজনা কমিয়ে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়াকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।





