গাজায় নিরবচ্ছিন্ন বিমান হামলা চালানোর পাশাপাশি দীর্ঘদিন ধরেই স্থল অভিযানের হুমকি দিয়ে আসছিলো ইসরাইল। গাজা পুরোপুরি দখলে নিতে এবার সেই স্থল অভিযান শুরু করেছে তেল আবিব। মঙ্গলবার ভোর থেকে বোমা হামলা চালানো শুরু করে নেতানিয়াহু বাহিনী। রাতভর আরও জোরালো হামলা চালিয়ে গাজা সিটির গভীরে প্রবেশ করতে শুরু করেছে তারা।
গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নিতে কয়েকমাস সময় লাগবে জানিয়ে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এফি ডেফ্রিন জানান, যতই সময় লাগুক গাজায় অভিযান চলবে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র এফি ডেফ্রিন বলেন, ‘গাজা সিটিতে আক্রমণাত্মক স্থলাভিযান শুরু হয়েছে। লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত কাঠামোবদ্ধ ও ক্রমবর্ধমান পরিকল্পনা অনুযায়ী অভিযান চলবে। প্রয়োজনে সেনা সংখ্যাও বাড়ানো হবে।’
আরও পড়ুন:
ইসরাইলের নতুন স্থলাভিযানের মুখে গাজা সিটি ছেড়ে পালাচ্ছে অসহায় ফিলিস্তিনিরা। একমাত্র উপকূলীয় সড়ক ধরে গাধার গাড়িতে, রিকশায়,পায়ে হেঁটেও দক্ষিণের দিকে পালাচ্ছে তারা।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর অনুমান বলছে, অন্তত ৩ লাখ ৫০ হাজার মানুষ পালিয়েছে, তবে আধা মিলিয়নেরও বেশি মানুষ এখনও গাজা শহরে রয়েছে। তাদের সবাইকে উপকূলীয় অংশের মানবিক অঞ্চলে চলে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
গাজায় ইসরাইলের নতুন স্থল অভিযানের নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। ফিলিস্তিন ভূখণ্ডে চলমান যুদ্ধ নৈতিক, রাজনৈতিক ও আইনিভাবে অসহনীয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, ‘গাজায় যা ঘটছে তা ভয়াবহ। গাজা সিটিকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে। নিরীহ নাগরিকদের হত্যার পাশাপাশি মানবিক সহায়তা সরবরাহে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিইয়ামিন নেতানিয়াহু রাজি থাকলে চলমান সমস্যা সমাধানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও তার সাথে বৈঠক হতে পারে।’
গাজা সিটিতে ইসরাইলের নতুন স্থল অভিযানকে ভয়াবহ হিসেবে অভিহিত করেছে কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স-এ প্রকাশিত এক পোস্টে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নতুন এ হামলা গাজায় মানবিক সংকটকে আরও তীব্র করে তোলার পাশাপাশি জিম্মিদের মুক্তির সম্ভাবনাকেও ঝুঁকিতে ফেলছে।





