যুদ্ধবিরতি নয়, কিয়েভের উচিত মস্কোর সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো: ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প | ছবি : সংগৃহীত
0

ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে ট্রাম্প-পুতিন দুই পরাশক্তির বৈঠকের তিন দিন পর আজ জেলেনস্কির সঙ্গে আলোচনায় বসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যুদ্ধ থামাতে পুতিনের চাহিদা জানিয়ে ট্রাম্প আগেই ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি নয় কিয়েভের উচিত মস্কোর সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো। এমন পরিস্থিতিতে ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ এবং ইউরোপের নিরাপত্তায় শুক্রবারের ট্রাম্প-পুতিনের বৈঠকের চেয়ে আজকের ওয়াশিংটন ডিসির বৈঠককে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

গত শুক্রবার (১৫ আগস্ট) আলাস্কায় ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক ঘিরে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের যে আশার আলো জ্বলে ওঠেছিল, দুই পরাশক্তির সংবাদ সম্মেলনের পর তা হতাশায় পরিণত হয়। যুদ্ধবিরতি, নিষেধাজ্ঞা কিংবা বড় ঘোষণা, এমন কিছু না আসায় হতাশ বিশ্ব।

তবে আজ (সোমবার, ১৮ আগস্ট) ওয়াশিংটন ডিসিতে ট্রাম্প-জেলেনস্কি বৈঠক ঘিরে আবারও আলোচনা তুঙ্গে। মূলত ইউক্রেনে শান্তি ফেরাতে পুতিন যেসব শর্ত দিয়েছেন তা নিয়ে দর কষাকষি হতে পারে এ বৈঠকে।

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের শর্ত হিসেবে পুতিন জেলেনস্কির কাছ থেকে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল নিয়ে গঠিত পুরো দনবাস অঞ্চল চাইছেন। এরমধ্যে লুহানস্কের প্রায় পুরোটাই রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে। তবে দোনেৎস্কের গুরুত্বপূর্ণ কিছু এলাকা এখনও ইউক্রেনের দখলে। এর বিনিময়ে দক্ষিণ ইউক্রেনের খেরসন ও জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে সম্মুখ সারিতে যুদ্ধ বন্ধ করার প্রস্তাব দিয়েছেন পুতিন। এ অঞ্চলগুলোর বেশ কিছু এলাকা রুশ বাহিনীর দখলে।

ইউক্রেনকে ন্যাটো জোটে যুক্ত হওয়ার আশা ছেড়ে দেওয়ার পাশাপাশি দেশটির সেনাবাহিনীর আকার ছোট করার শর্ত দিয়েছেন পুতিন। সেই সঙ্গে ইউক্রেনকে নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চায় রাশিয়া।

আরও পড়ুন:

পুতিনের এ প্রস্তাবের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় জেলেনস্কি বলেছেন, যুদ্ধ বন্ধ করতে চায় না বলেই এ প্রক্রিয়াকে জটিল করছেন পুতিন।

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা চাইছেন, যেকোনো সিদ্ধান্তে ইউক্রেনের সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। সেই সঙ্গে ইউক্রেনের নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিতে হবে যাতে করে রাশিয়া পরে দেশটিতে আর আক্রমণ করতে না পারে। আজকের বৈঠকে ইইউ নেতাদের অংশগ্রহণ ইউরোপের সঙ্গে ইউক্রেনের ঐক্যবদ্ধ হওয়াটাই প্রকাশ করছে।

তবে এরইমধ্যে পুতিনের প্রস্তাবে ট্রাম্পের সমর্থনের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। আর সে কারণে মনে করা হচ্ছে, বৈঠকে জেলেনস্কিকে ভূমি ছেড়ে দিতে জোর দিতে পারেন ট্রাম্প। তবে প্রায় তিন বছরের যুদ্ধে যেখানে ভূমি রক্ষায় অনেক মানুষ এরইমধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন সেখানে শান্তির জন্য ভূমি ছাড়তে কি রাজি হবে ইউক্রেন? আবার ভূমি ছেড়ে দিয়ে যুদ্ধ বন্ধ করলেও ইউক্রেনের নিরাপত্তা কতটা নিশ্চিত হবে? এসব প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

ইএ