দাবানলের আগ্রাসী থাবায় সব পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়ায় এবং অনেক এলাকায় আগুন ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কায় ঘর-বাড়ি হারা ধনী-গরিব আজ এককাতারে। পড়নের কাপড় ছাড়া আর কোনোকিছু নিয়েই ঘর থেকে বের হতে পারেননি, এমন বাসিন্দার সংখ্যাও অজানা। যাদের কাছে অর্থ নেই, অনেকের অ্যাকাউন্টে অর্থ থাকলেও ঘরে মানিব্যাগ, ডেবিট কার্ড, ক্রেডিট কার্ড, চেক বই রেখে আসায় ব্যাংক থেকে ডলার ওঠানোরও উপায় নেই। এ অবস্থায় দাবানলের হাত থেকে বেঁচেও জীবন যুদ্ধের কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি তারা।
শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, ‘আগুনে সবচেয়ে খারাপ দিক ছিল আমাদের স্কুল পুড়ে গেছে। আমরা এখন স্কুলে যেতে পারছি না। সবাই গৃহহীন।’
খোলা ময়দানে এসব মানুষকে সহায়তায় হাত বাড়িয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা স্বেচ্ছাসেবকরা। গরম কাপড়, ডায়াপার, সুপেয় পানি ও খাবার নিয়ে নিঃস্ব মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তারা। একসময় অপরকে সাহায্য-সহযোগিতা করা বাসিন্দারা আজ নিজেই প্রকাশ্যে হাত পাতছেন অন্যের কাছে। সর্বহারা এসব মানুষের পাশে থাকতে পেরে মানসিক প্রশান্তি খুঁজে পাচ্ছেন স্বেচ্ছাসেবকরা।
স্বেচ্ছাসেবকদের একজন বলেন, ‘তাদের জন্য আমার খুব খারাপ লাগছে, তাই সাহায্য করতে এখানে এসেছি। আমি কেবল এটুকুই করতে পারি।’
এ অবস্থায় নজিরবিহীন দাবানলের হাত থেকে কখন রেহাই মিলবে, তারই অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন সাধারণ মানুষ। তবে এখনও কোনো ভালো খবর নেই বাসিন্দাদের জন্য। যেসব এলাকায় এখনও আগুন পৌঁছায়নি তাদের জন্যও আছে দুঃসংবাদ, সান্তা আনা নামের ঝড় আগুনের লেলিহান শিখাকে কোথা থেকে কোথায় নিয়ে যায় সেটা অনুমান করাও এই মুহূর্তে দুরূহ কাজ।