বিদেশে এখন
0

দক্ষিণ কোরিয়ায় ১৮১ যাত্রী নিয়ে বিমান বিধ্বস্ত, নিহত বেড়ে ১২২

দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত ১২২ জনের প্রাণহানির খবর মিলেছে। এছাড়া এখন পর্যন্ত ২ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী দল। মুয়ান বিমানবন্দরের সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। আজ (রোববার, ২৯ ডিসেম্বর) থাইল্যান্ড থেকে ১৮১ জন আরোহীসহ দক্ষিণ কোরিয়া আসে জেজু এয়ারের এই ফ্লাইটটি। বিমানটি অবতরণের সময় ল্যান্ডিং গিয়ার অকেজো হয়ে পড়ায় রানওয়ে থেকে বের হয়ে দেয়ালে ধাক্কা খাওয়ার পরপরই বিমানে আগুন ধরে যায়। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

আজারবাইজান এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও একটি ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনা দেখলো বিশ্ব। রোববার স্থানীয় সময় ৯টায়, জেজু এয়ার জেট লাইনারের বোয়িং সেভেন-থ্রি-সেভেন-এইট হান্ড্রেড মডেলের একটি বিমান দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয়েছে। বিমানটি থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে আসছিল বলে জানাচ্ছে সংবাদ সংস্থা ইওনহাপ।

এপির তথ্য বলছে, ল্যান্ডিং গিয়ার অকেজো হয়ে পড়ায় এই দুর্ঘটনা। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, বিমানের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। অব্যাহত আছে উদ্ধার অভিযান। যদিও হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে বলে জানাচ্ছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। উদ্ধার অভিযানে সর্বোচ্চ গুরুত্বারোপের নির্দেশ দেয়ার পাশাপাশি দুর্গতদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেছেন দেশটির ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট চো সেং মক। গেল শুক্রবারই প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি।

সিএনএন জানায়, আগুনে বিমানের বেশিরভাগ অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হলেও পেছনের অংশ তুলনামূলক কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যাত্রীদের মধ্যে যারা পেছনে আসন পেয়েছিলেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ জীবিত থাকতে পারে বলেও জানানো হয়েছে। এ দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে থাইল্যান্ডের দুই নাগরিক ছিলেন বলে নিশ্চিত করেছে গার্ডিয়ান।

স্থানীয় সময় ১০টার কিছু পরে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছে বিশেষ তদন্ত কমিটির সদস্যরা। আলামত সংগ্রহের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে প্রাথমিক তদন্ত। দক্ষিণ কোরিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয় জানায়, এমন একটি সময়ে এই দুর্ঘটনা ঘটলো যখন নেতৃত্ব সংকটে টালমাটাল দেশটির রাজনীতি। প্রেসিডেন্ট ইয়ুন সুক ইওলের অপসারণের দুই সপ্তাহের মাথায় ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হান ডাক-সু কেও অভিশংসনের পক্ষে রায় দিয়েছে দেশটির পার্লামেন্ট।

ইএ