তুষারপাতে ঢাকা পড়েছে যুক্তরাজ্যের স্কটল্যান্ড ও ইংল্যান্ড। শনিবার (২৩ নভেম্বর) আঘাত হানা মৌসুমি ঝড় বার্টের তাণ্ডবে এখনও কোথাও কোথাও অব্যাহত তুষার ঝড়। আয়ারল্যান্ডসহ কোথাও কোথাও ঝড়ছে বৃষ্টিও।
এতে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হয়েছে কয়েক হাজার বাড়িঘর, খামার এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তুষার শুভ্র বরফে রাস্তা-ঘাট ঢাকা পড়ায় ব্রিটেনের কিছু রেললাইন এবং রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে।
এমনকি ইংল্যান্ডের নিউক্যাসল বিমানবন্দরের রানওয়েতেও হানা দিয়েছে তুষার ঝড়। অনেক ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্ব হওয়ায় যাত্রীরা দুর্ভোগের শিকার। ১৬টি জায়গায় বন্যার শঙ্কায় আজ (রোববার, ২৪ নভেম্বর) পর্যন্ত জরুরি আবহাওয়া সতর্কতা জারি রেখেছে কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা চেষ্টায় পুরোদমে চলছে তুষার সরানোর কাজ।
এদিকে শীতকালীন ঝড়ের তাণ্ডবে ধুঁকছে যুক্তরাষ্ট্রও। বছরের প্রথম তুষার ঝড়ের সাক্ষী হয়েছে নিউ জার্সি ও পেনসিলভেনিয়াসহ বেশ কিছু অংশ। অনেক জায়গায় ২০ ইঞ্চির ওপরে জমেছে তুষার। বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় পুরো অঞ্চলে স্কুল ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করাতে বাধ্য হয়েছে।
একই সময় বায়ুমণ্ডলীয় ঝড়ের কারণে তিনদিনের রেকর্ড বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যার পানিতে ডুবে আছে যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্য। হঠাৎ বন্যার হানায় জনজীবনে স্থবিরতা নেমে এসেছে। সবচেয়ে খারাপ অবস্থা সোনোমা কাউন্টির। শহরের প্রধান সড়কেও ৩ ফুটের ওপরে পানি জমে আছে।
বাসিন্দাদের একজন বলেন, ‘আমি যখন বাইরে এসেছিলাম তখন পানির স্তর খুব বেশি ছিল না। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে পানির স্তর বেড়ে যাওয়ায় আমাকে প্রায় তিন ফুট পানি অতিক্রম করতে হয়েছিলো।’
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দিয়ে সাহায্য তুলে বন্যা দুর্গত মানুষের হাতে খাবার তুলে দিচ্ছে অনেক স্বেচ্ছাসেবকরা। চালাচ্ছেন উদ্ধার তৎপড়তাও।
স্বেচ্ছাসেবকদের একজন বলেন, ‘আমি সারা দিন পেয়েছি একটি নৌকা পেয়েছি। তাই এখানে সাহায্য করতে এসেছি, আপনারাও সাহায্য করুন।’
আরেকজন বলেন, ‘আমরা সবাই মানুষ। এইরকম পরিস্থিতিতে একে অপরকে সাহায্য করবে এটাই স্বাভাবিক। আমি মনে করি আমরা যদি প্রতিদিন এভাবে চলতে পারি সবাই অনেক ভাল থাকব।’
এদিকে, গত ২৯ অক্টোবর স্পেনের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ২২০ জনের বেশি মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় এখনও উত্তপ্ত ভ্যালেন্সিয়া। স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় হাজারো শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন ব্যাহত হচ্ছে। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত স্কুলগুলোর দ্রুত পুনর্গঠনের দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন ভ্যালেন্সিয়ার হাজার হাজার অভিভাবক ও শিক্ষকরা।
৩০টি স্কুল এখনও বন্ধ থাকায় ১৩ হাজার শিশুর পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে বলে দাবি করছে আঞ্চলিক শিক্ষক ইউনিয়ন। তবে ভ্যালেন্সিয়ার আঞ্চলিক সরকার বলছে, ১১ নভেম্বর থেকে প্রায় ৩২ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য স্কুলে গিয়ে পড়াশোনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।