দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাংশ তীব্র তুষারপাত, ভোগান্তি স্থানীয়রা

.
পরিবেশ ও জলবায়ু , এশিয়া
বিদেশে এখন
0

তীব্র তুষারপাতের কবলে জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, চীনসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাংশ। আবহাওয়া বিরূপ হওয়ায় ভোগান্তি যেমন আছে, তেমনি এর মধ্যেও আনন্দ খুঁজে নিচ্ছেন অনেকে।

তীব্র তুষারপাতের দিনকেই পর্বতারোহণের জন্য বেছে নিয়েছেন একদল পর্যটক। সাথে স্নো বোর্ডার আর স্কিয়ারদের ভিড়ে বোঝার উপায় নেই তুষারপাতের ভোগান্তি।

গেলো দু'-তিনদিন ধরে জাপানের উত্তর, দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চল এবং জাপান সাগর উপকূল বিরামহীন তুষারপাতের কবলে। এ সময়েই হোক্কাইডোতে ১২ ঘণ্টায় রেকর্ড ১২৯ সেন্টিমিটার পর্যন্ত তুষারপাত রেকর্ড করে জাপানের আবহাওয়া বিভাগ।

দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলেও বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে টানা তুষারপাত আর শৈত্যপ্রবাহে বিপর্যস্ত জনজীবন। শুক্রবার শেষ প্রহর পর্যন্ত এ অবস্থা অব্যাহত থাকবে এবং আরও তিনদিন সিউলের তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে থাকবে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে।

দক্ষিণ কোরিয়ার স্থানীয় একজন বলেন, 'মনে হচ্ছে যে রাস্তা খুব পিচ্ছিল হবে। তাই খুব সাবধানে চলছি। অনেক তুষারপাত হলে গণপরিবহনে অনেক ভিড় হবে বলেও ভয় রয়েছে। তাই কাজ একটু তাড়াতাড়ি শেষ করে ভিড়ের সময়টা এড়াতে চাইছি।'

স্থানীয় অন্য একজন বলেন, 'যতক্ষণ সম্ভব বাড়ি থেকে বের না হওয়ার চেষ্টা করবো। কারণ পুরো সপ্তাহ ধরে আগে থেকেই এতো ঠান্ডা পড়েছে। বাসে চড়তে হবে, এসময় বরফের কারণে রাস্তা বিপজ্জনক বলেও আমি চিন্তিত।'

অন্যদিকে চীনের অন্যতম শীতল অঞ্চল, উত্তর প্রান্তের বেইজি গ্রাম। হাড়কাঁপানো শীতের জন্য সুপরিচিত এ অঞ্চলটি। উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় হেইলংজিয়াং প্রদেশের এ গ্রামটিতে শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা মাইনাস ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে আটকে থাকে বছরের প্রায় সাত মাস। তবে বর্তমানে বেইজি গ্রাম দেশবিদেশের পর্যটকদের জনপ্রিয় গন্তব্য হিসেবে নাম কুড়িয়েছে বেশ।

একজন পর্যটক বলেন, 'শীতের সময় কোনো কাজ থাকতো না, আয়ও থাকতো না। তাই এখানে শীতকালকে কেউ পছন্দ করে না। আগে ভাবতাম যে বড় হলে এই বরফ আর তুষারের এলাকায় না থেকে একটু উষ্ণ এলাকায় যাবো।'

অন্য একজন পর্যটক বলেন, 'এখানে পরিবারের সাথে দেখা করতে আসতাম। ভেবেছিলাম বাড়িতে হোমস্টে খুলবো। কিন্তু লক্ষ্য ছিল না কোনো। কিন্তু প্রেসিডেন্টের আশ্বাসে পরে মনে হয়েছে যে কাজটা শুরু করতে পারি।'

বেইজির অসহনীয় শীত মৌসুমকে ভরা পর্যটনের মৌসুম হিসেবে গড়ে তুলতে ২০১৬ সাল থেকে কাজ করছে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের প্রশাসন। ২০২৩ সালে গ্রামটিতে পা রাখেন খোদ প্রেসিডেন্ট। ফলে এরই মধ্যে লাভের মুখও দেখতে শুরু করেছে গ্রামবাসী।

এসএস