বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতি ও ক্ষমতাশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে নজর গোটা বিশ্বের। হোয়াইট হাউজের ক্ষমতায় কে আসছেন তা নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। চলমান বৈশ্বিক যুদ্ধ, অর্থনৈতিক মন্দা, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি নান ইস্যুতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এবারের মার্কিন নির্বাচন। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কামালা হ্যারিস বা রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাকে চান বিশ্বনেতারা।
এ তালিকায় সবার আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নাম আসে। গবেষণা প্রতিষ্ঠান চ্যাথাম হাউসের মতে, নানা কারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পকে দেখতে চান পুতিন। রাশিয়ার প্রতি ট্রাম্প কিছুটা নমনীয় এবং ইউক্রেনের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে সহায়তা করবেন তিনি। সংস্থাটির ধারণা ইউক্রেনে সামরিক সহায়তা বন্ধ এবং রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে পারেন ট্রাম্প।
যদিও সম্প্রতি মজা করে পুতিন হোয়াইট হাউজের ক্ষমতায় কমলাকে পছন্দের কথা বলেছিলেন। আদতে তার পছন্দের প্রার্থী ট্রাম্প। যদিও বিশ্লেষকেরা বলছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে যেই জিতুক, রাশিয়ার প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টিভঙ্গি একই থাকবে।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং সরাসরি কমলা বা ট্রাম্প কাউকেই সমর্থন দেননি। ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান উভয় দলই চীনের প্রতি কঠোর অবস্থানে আছে। ট্রাম্প ক্ষমতায় আসলে চীনের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধ চলবেই। আর ডেমোক্র্যাটরাও বিশ্বে চীনের প্রভাব কমাতে নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে। অবশ্য এ নিয়ে চীনও খুব একটা কিছু ভাবছে না।
ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহুর সমর্থনের ইঙ্গিত রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের দিকেই। বিভিন্ন সমাবেশে ট্রাম্পও ইসরাইলের পাশে থাকার ঘোষণা দিয়েছেন। অন্যদিকে, ইউরোপের অনেকে নেতা এবার ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কামালা হ্যারিসকে সমর্থন দিয়েছেন। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বলেছেন, তার দৃষ্টিতে কামালা যুক্তরাষ্ট্রের একজন দারুণ প্রেসিডেন্ট হবেন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তবে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর করতে আগ্রহী দুই প্রার্থী ট্রাম্প ও কামালা। এর পেছনে কাজ করছে এশিয়া অঞ্চলকে চীনের প্রভাবমুক্ত রাখা। এছাড়া, বাইডেনের শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে। ট্রাম্পের শাসনামলে সিউলের প্রতিরক্ষা খরচ কমিয়ে দেয়া হয়েছিল।
ট্রাম্পের প্রতি জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার মনোভাব নেতিবাচক। বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের শুল্ক নীতি ও সামরিক বাজেট নিয়ে ঝামেলায় পড়তে পারে জাপান। ট্রাম্প জয়ী হলে অস্ট্রেলিয়ার জন্যও নানা জটিলতা দেখা দিতে পারে। আর কামালা হ্যারিস প্রেসিডেন্ট হলে তাদের নীতি ধারাবাহিকভাবে চালু থাকবে।