২৬ অক্টোবর হামলার পর ইসরাইলকে পালটা জবাব দেয়ার ঘোষণা দিয়ে আসছে ইরান। দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি জানান, দেশ ও জাতির স্বার্থে সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা নির্ধারণ করবে হামলার ধরন।
পালটা জবাবের দিনক্ষণ নিয়ে আভাস দিয়েছে ইরানের একটি সূত্র। সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইরানের এক শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জানান, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগেই হামলা চালানো হবে ইসরাইলে। নিশ্চিত এই হামলা ধ্বংসাত্মক হবে বলেও জানানো হয়। যদিও হোয়াইট হাউজ সতর্ক করে জানিয়েছে, ইরানের পালটা হামলা করা উচিত হবে না।
হোয়াইট হাউজের মুখপাত্র ক্যারিন জ্যঁ পিয়েরে বলেন, ‘ইরানের পালটা হামলা চালানো উচিত হবে না। যদি কোনো কারণে ইরান পালটা হামলা চালায়, সেক্ষেত্রে ইসরাইলের আত্মরক্ষায় পাশে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। তবে ইরানের পালটা জবাব দেয়া উচিত হবে না।’
এরমধ্যেই লেবাননের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। বুধবার বালবেক অঞ্চলের ২টি শহরে ইসরাইলি হামলায় নিহত বেশ কয়েকজন। বর্বরতা চলছে গাজাতেও। তবুও তেল আবিবকে সমর্থন দিতে কুণ্ঠা বোধ করছে না ওয়াশিংটন। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ নির্মূলে যৌক্তিক টার্গেটে হামলায় ইসরাইলকে সমর্থন দিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে হাসান নাসরাল্লাহর পরিকল্পনা অনুযায়ী হিজবুল্লাহ যুদ্ধ চালিয়ে যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন সংগঠনটির নবনিযুক্ত প্রধান।
হিজবুল্লাহ প্রধান নাঈম কাশেম বলেন, ‘যুদ্ধ নিয়ে সাইয়ীদ হাসান নাসরাল্লাহর যে পরিকল্পনা ছিল, তা বাস্তবায়নে কাজ করবে হিজবুল্লাহ। পরিস্থিতি মোতাবেক কৌশল বদল হতে পারে। সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় আমরা প্রতিরোধ যুদ্ধ চালিয়ে যাবো।’
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, ‘হিজবুল্লাহর যৌক্তিক অবস্থানে আক্রমণকে আমরা সমর্থন করি। তবে এমন অভিযানে বেসামরিক জনগণের জীবনকে শঙ্কার মুখে ফেলা যাবে না। বালবেকের মতো ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চলে সাংবাদিক, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী ও লেবাননের সামরিক বাহিনীর সদস্যদের হুমকির মুখে ফেলা যাবে না।’
তবে আশার খবর হলো আগামী কয়েদিনের মধ্যে লেবাননে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হতে পারে। মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মার্কিন দূতের সঙ্গে বৈঠক শেষে লেবাননের অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী জানান, ৫ নভেম্বরের আগেই যুদ্ধবিরতি কার্যকরের সম্ভাবনা রয়েছে।