বিদেশে এখন
0

পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পেলেন জন হপফিল্ড ও জেফ্রি হিন্টন

চলতি বছর পদার্থবিদ্যায় সম্মানজনক নোবেল পুরস্কার জিতেছেন মার্কিন বিজ্ঞানী জন জে হপফিল্ড ও কানাডিয়ান বিজ্ঞানী জেফ্রি হিন্টন। আজ (মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর) রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি অব সায়েন্স জানিয়েছে, কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কসহ মেশিন লার্নিংয়ের মৌলিক আবিষ্কারের জন্য জন হোপফিল্ড ও জেফ্রি হিন্টনকে এ বছর পদার্থবিদ্যায় নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

গতকাল (সোমবার, ৭ অক্টোবর) থেকে এ বছরের নোবেলজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হচ্ছে। প্রথমদিন চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়।

রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি জানায়, এ দুজন পদার্থবিদ্যা ব্যবহার করে এমন পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যা আজকের মেশিন লার্নিংয়ের ভিত্তি স্থাপন করেছিল।

এর মধ্যে হপফিল্ড এমন স্ট্রাকচার তৈরি করেছেন যেটি তথ্য সংরক্ষণ এবং পুনর্গঠন করতে পারে। অপরদিকে হিন্টন যে পদ্ধতি আবিষ্কার করেছেন যেটি স্বাধীনভাবে তথ্যের বৈশিষ্ট্য খুঁজে বের করতে পারে। যা বর্তমান বিশ্বে ব্যবহৃত বৃহৎ কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

রয়েল সুইডিশ অ্যাকাডেমি বলছে, যদিও কম্পিউটার মানুষের মতো চিন্তা করতে পারে না। কিন্তু স্মৃতি এবং শেখার মতো কিছু জিনিস অনুকরণ করতে পারে মেশিন। পদার্থবিদ্যার মৌলিক ধারণা ও পদ্ধতি ব্যবহার করে এ দুজন এমন প্রযুক্তি আবিষ্কার করেছেন যা নেটওয়ার্কের কাঠামো ব্যবহার করে তথ্য প্রক্রিয়াজাত করে।

গত বছর পদার্থবিদ্যায় যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পান আমেরিকার পিয়ের অগস্টিনি, হাঙ্গেরির ফেরেঙ্ক ক্রাউৎজ এবং ফ্রান্সের অ্যানে এলহুইলার। তিন বিজ্ঞানীরই গবেষণার বিষয় ছিল অভিন্ন- ইলেকট্রন গতিবিদ্যা।

১৯০১ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১১৮ বার পদার্থে নোবেল দেওয়া হয়েছে। সবমিলিয়ে ২২৫ জন পদার্থবিদ এই পুরস্কার পেয়েছেন। এরমধ্যে জন বার্ডিন একমাত্র ব্যক্তি হিসেবে দুইবার এই পুরস্কার জিতেছেন। প্রথমবার ১৯৫৬ সালে এবং দ্বিতীয়বার ১৯৭২ সালে তিনি নোবেলে ভূষিত হন।

এএইচ