২০২৪ সালে ভেনেজুয়েলায় বিতর্কিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিকোলাস মাদুরোর জয়ের পর অনেকটা আত্মগোপনে চলে যান বিরোধীদলীয় নেতা মারিয়া কোরিনা মাচাদো। নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ের দাবি করায় তার বিরুদ্ধে দমনপীড়ন চালায় ক্ষমতাসীন সরকার। গ্রেপ্তার এড়াতে গোপনে চলাফেরা শুরু করেন তিনি। সবশেষ তাকে প্রকাশ্যে দেখা যায় গেল জানুয়ারি মাসে। ২০১৪ সাল থেকে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি আছে মাচাদোর ওপর।
গেল অক্টোবরে নোবেল শান্তি পুরস্কারে ভূষিত হন ভেনেজুয়েলার বিরোধীদলীয় নেতা মাচাদো। ১০ ডিসেম্বর সেই পুরস্কার গ্রহণের জন্য নরওয়েরে রাজধানী অসলোতে তাকে আমন্ত্রণ জানায় নোবেল কমিটি। নানা জল্পনার পর অবশেষে গতকাল (বুধবার, ১০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় মধ্যরাতে অসলোতে পৌঁছান তিনি। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা থাকায় তিনি প্রথমে গোপনে নৌকায় করে ভেনেজুয়েলা থেকে ক্যারিবিয়ান দ্বীপ কুরাকাওতে পৌঁছান। পরে সেখান থেকে ব্যক্তিগত বিমানে করে নরওয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হন মাচাদো।
আরও পড়ুন:
এরপর গভীর রাতে মাচাদোকে অসলোর গ্র্যান্ড হোটেলের বারান্দায় এসে সমর্থকদের উদ্দেশে হাত নাড়ান। এসময় সমর্থকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে ছবি তোলেন। ভেনেজুয়েলার জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে স্বাগত জানানো হয় তাকে। হোটেলের বাইরে জড়ো হওয়া জনতা স্প্যানিশ ভাষায় সাহসী এবং স্বাধীনতা স্লোগান দিতে থাকে।
নরওয়ের নাগরিকদের মধ্যে একজন বলেন, ‘মাচাদো আমাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। তিনি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ একজন যোদ্ধা। তিনি আমাদের স্বাধীনতার প্রতীক।’
অন্য একজন বলেন, ‘জীবনঝুঁকি নিয়েই তিনি আত্মগোপন থেকে প্রকাশ্যে এসেছেন। তিনি নিরাপদে আছেন এটিই আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় স্বস্তির খবর।’
এদিকে সময়মতো পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আসতে না পারায় মাচাদোর হয়ে নোবেল শান্তি পুরস্কার গ্রহণ করেন তার মেয়ে আনা কোরিনা সোসা। পুরষ্কারটি দেশে, বিদেশে এবং কারাবন্দী ভেনেজুয়েলার নাগরিকদের উৎসর্গ করেন তিনি।
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মাচাদোর সম্মানে অসলোতে একটি মশাল মিছিল বের করা হয়। কুচকাওয়াজের মাধ্যমে স্বাগত জানানো হয় নোবেল বিজয়ী মাচাদোকে।





