স্বতন্ত্র সংস্কৃতি আর জীববৈচিত্র্যে সমৃদ্ধ মালয়েশিয়ায় সারাবছর ধরেই লেগে থাকে পর্যটকদের আনাগোনা। দক্ষিণ চীন সাগর লাগোয়া দেশটির সীমানাজুড়ে আছে ঘন সবুজ অরণ্যে ঢাকা পর্বতমালা।
দেশটির পর্যটন বিভাগের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে দেশটিতে ভ্রমণ করেছেন ২ কোট ১ লাখ ৪০ হাজার বিদেশি পর্যটক। যেখান থেকে আয় হয়েছে ১ হাজার ৬শ' ৯০ কোটি ডলার । আর এ খাতে কর্মসংস্থান হয়েছে প্রায় ৩৪ লাখ মানুষের।
মালয়েশিয়ায় বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম বড় উৎস এই পর্যটনখাতের প্রসার বাড়াতে, কুয়ালালামপুরে হয়ে গেলো আন্তর্জাতিক পর্যটন ও সংস্কৃতি প্রদর্শনী সম্মেলন। ৪ দিনব্যাপী এই আয়োজনে তুলে ধরা হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সংস্কৃতি।
আয়োজনের উদ্দেশ্য পর্যটন পণ্য, ভ্রমণ সংস্থা ও ভ্রমণ শিল্পের টেকসই উন্নয়ন সংশ্লিষ্টদের একত্রিত করা। এ সম্মেলনে অংশ নিয়েছে বাংলাদেশও । দেশটির হাইকমিশনের তত্ত্বাবধানে আয়োজনের শেষদিনে ছিলো বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। নাচে গানে ফুটিয়ে তোলা হয় দেশের কৃষ্টি ও সংস্কৃতি ।
আন্তর্জাতিক এ সম্মেলনে ইউনেস্কো স্বীকৃত বাংলাদেশের তিনটি ঐতিহ্যবাহী পর্যটন এলাকাসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থাপনার দৃষ্টিনন্দন দিকগুলো তুলে ধরে বাংলাদেশের হাই কমিশন।
এবারের সম্মেলনে ৩০০টি বুথে পর্যটন সংশ্লিষ্ট সেবা ও পণ্যের প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে ২০টিরও বেশি দেশ। এ ধরনের আয়োজন দেশের পর্যটনখাতকে সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি ভ্রমণ পিপাসুদের আকৃষ্ট করবে এমনটাই প্রত্যাশা আয়োজকদের।