বিদেশে এখন
0

মঙ্গলা হাটে বেচাকেনা কমে যাওয়ায় মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের

আসন্ন দুর্গাপূজা ঘিরে কলকাতার হাওড়ায় ঐতিহ্যবাহী মঙ্গলা হাটে এই সময়টায় জমজমাট থাকার কথা। কিন্তু অন্যান্য বছরের তুলনায় বেচাকেনা কমে যাওয়ায় মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায় মন্দার জন্য আরজিকর কাণ্ড ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়াকে দায়ী করছেন তারা। যদিও সামনের দিনগুলোতে হাটটি তার পুরনো হারানো জৌলুশ ফিরে পাবে বলে প্রত্যাশা ব্যবসায়ীদের।

পশ্চিমবঙ্গের হাওড়ার মঙ্গলা হাট। ভারত তথা এশিয়ার বৃহত্তম জামা কাপড়ের হাটটিতে পাইকার ও খুচরা ক্রেতাদের ভিড় থাকে সারা বছরই। দুর্গাপূজার আগে কয়েকগুণ বেড়ে যায় বেচাকেনা। কিন্তু এবারের চিত্র একেবারেই ভিন্ন। সাধারণ ক্রেতাদের পদচারণা থাকলেও, পাইকারি ব্যবসায়ীদের আনাগোনা নেই বললেই চলে।

এ অবস্থায় মাথায় হাত ঐতিহ্যবাহী এই হাটের স্থায়ী-অস্থায়ী ব্যবসায়ীদের। কারণ আসন্ন দুর্গা পূজা ঘিরে পোশাক তৈরি ও মজুত বাড়ালেও, কমেছে বিক্রি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া ও রাজ্যের কয়েকটি অঞ্চলে চলমান বন্যা পরিস্থিতির পাশাপাশি আরজি কর কাণ্ডের কারণে এই হাল বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় শপিং মলের সংখ্যা বৃদ্ধি ও অনলাইন ব্যবসার সম্প্রসারণও মঙ্গলা হাটের ব্যবসায় প্রভাব ফেলছে বলেও মনে করছেন অনেকে।

ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘বন্যা পরিস্থিতির পাশাপাশি আরজি কর কাণ্ডের কারণে এই অবস্থা। পাশাপাশি চারিদিকে যে হারে দাম বাড়ছে তাতে কি কাস্টমার আসবে?’

তবে, সড়ক, রেল ও মেট্রো পরিষেবার মাধ্যমে হাটটিতে যাতায়াত ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এখনও হাল ছাড়েননি ব্যবসায়ীরা। বর্তমানে মন্দা থাকলেও, দুর্গাপূজার আগেই বিক্রি বাড়বে বলেও প্রত্যাশা তাদের।

তিনশো বছর বয়সী এই হাটটিতে অর্ধশত বছর ধরে বেচাকেনা করছে এমন স্থায়ী দোকানের সংখ্যা ৫০ থেকে ৬০ হাজার। প্রতি সপ্তাহের সোম ও মঙ্গলবার দু'দিন বসে হাট। জমজমাট অবস্থায় প্রতিদিন লেনদেন হতো ২০০ থেকে ৪০০ কোটি রুপি।

ইএ