বিদেশে এখন
0

প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্ক নিয়ে বাকযুদ্ধে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান শিবির

আগামী ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিতব্য মার্কিন প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কের নিয়মকানুন নিয়ে রীতিমতো বাকযুদ্ধে নেমেছে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান শিবির। বিতর্ক চলাকালীন একজন কথা বলার সময় আরেকজনের মাইক্রোফোন বন্ধ রাখার পক্ষে ট্রাম্প। তবে, এতে রাজি নয় কামালা। ট্রাম্প বলছেন, বিতর্ক থেকে সরে দাঁড়ানোর পায়তারা করছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট। এদিকে, ট্রাম্পের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন সাবেক ডেমোক্র্যাট কংগ্রেসওম্যান তুলসী গ্যাবার্ড।

আগামী ১০ সেপ্টেম্বর এবিসি নিউজের আয়োজনে বহুল প্রতীক্ষিত প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে অংশ নিতে যাচ্ছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কামালা হ্যারিস ও রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প। মুখোমুখি এই বিতর্ক করে এরইমধ্যে রাজনীতির ময়দানে উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছেন দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী।

গেল ২৮ জুন ট্রাম্পের কাছে বিতর্কে ধরাশায়ী হওয়ার পর থেকেই বাইডেনের প্রেসিডেন্ট প্রার্থিতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে নানা মহলে। নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে খোদ দলের ভেতর থেকে চাপ বাড়তে থাকে। এরই জেরে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান বাইডেন। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দেন বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসকে। এর এতেই উল্টে যায় গোটা চিত্র। দেরিতে প্রচারণায় এসেও জনসমর্থনের দিক দিয়ে ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে যেতে শুরু করেন কামালা। আশার আলো দেখতে শুরু করে ডেমোক্র্যাট শিবির।

এরই ধারাবাহিকতায় দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর প্রথম মুখোমুখি বিতর্ক নিয়ে শুরু হয় নানা নাটকীয়তা। বিতর্কের সময় ও অনুষ্ঠানস্থল নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে চলে টালবাহানা। অবশেষে সবকিছু ঠিকঠাক হলেও, এবার বাধ সেধেছে বিতর্কের নিয়মকানুন নিয়ে।

বিতর্ক চলাকালীন একজন কথা বলার সময় আরেকজনের মাইক্রোফোন বন্ধ রাখা হবে কিনা তা নিয়েই মূলত বাদানুবাদ চলছে দুই শিবিরে। রিপাবলিকান প্রার্থী ট্রাম্প, মাইক্রোফোন বন্ধ রাখার পক্ষে। কারণ, বাইডেন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী হিসেবে সরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আলাপ-আলোচনার মাধ্যমেই মাইক্রোফোন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়। আর এই নিয়মই বজায় রাখতে চান ট্রাম্প।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘অনেক প্রতিকূল পরিবেশের পরও আমি সব মেনে নিয়েছি। কামালার সঙ্গে বিতর্ক করতে তার পছন্দের চ্যানেলেও রাজি হয়েছি। কারণ আমি চাই বিতর্ক অনুষ্ঠানটি ন্যায্যতার ভিত্তিতে হোক। আমার কাছে সবচেয়ে খারাপ চ্যানেল এবিসি, সিএনএন তারচেয়েও খারাপ। নিউজ চ্যানেলগুলোর মধ্যে ফক্স নিউজই সেরা।’

এদিকে, ডেমোক্র্যাট প্রচারণা শিবির এক বিবৃতিতে জানায়, বিতর্ক চলার পুরো সময়টাতে দুই প্রার্থীর মাইক্রোফোন চালু রাখতে হবে। তাদের যুক্তি মাইক্রোফোন চালু থাকলে দুই প্রার্থী একে অন্যের প্রতিবাদ করতে পারবেন। এছাড়াও, পাল্টাপাল্টি যুক্তি খণ্ডানোরও সুযোগ থাকবে উভয় প্রার্থীর।

ডেমোক্র্যাট শিবিরের দাবি, ট্রাম্পের অবিরাম মিথ্যাচার ঠেকাতে এই নিয়মের বিকল্প নেই। অন্যদিকে, রিপাবলিকানদের অভিযোগ, হেরে যাওয়ার ভয়ে বিতর্ক থেকে পালানোর পায়তারা করছেন কামালা হ্যারিস।

এদিকে, ট্রাম্পের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন আরও এক সাবেক ডেমোক্র্যাট নেতা। এবার দলটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান তুলসী গ্যাবার্ড সমর্থন দিয়েছেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যুক্তরাষ্ট্রে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে ট্রাম্পের কোন বিকল্প নেই বলেও জানান তিনি। আর এজন্য আসন্ন নির্বাচনে ট্রাম্পকে নির্বাচিত করতে মার্কিনদের প্রতি আহ্বানও জানান তিনি।

tech