নির্বাচনী ময়দানে কামালা হ্যারিসকে টেক্কা দিতে যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করতে হবে, সেই বাস্তবতা অবশেষে মেনে নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই একদিকে যেমন ট্রাম্পের শ্বেতাঙ্গ ভোটারদের সমর্থন আদায়ে কৌশলী ডেমোক্রেটিক প্রার্থী কামালা, তেমনি অন্যদিকে নভেম্বরের নির্বাচনে জিততে তরুণ প্রজন্মকে পাশে চাইছেন ট্রাম্প।
প্রেসিডেন্ট বাইডেন নির্বাচনী দৌড় থেকে সরে দাঁড়ানোর ফলে মাত্র তিন সপ্তাহের ব্যবধানে নাটকীয় চ্যালেঞ্জের মুখে ট্রাম্প ও তার রিপাবলিকান প্রচারণা শিবির। বিভিন্ন জনমত জরিপে যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন নতুন প্রতিদ্বন্দ্বী কামালা, তাতে নড়েচড়ে বসেছে ট্রাম্প শিবির। নির্বাচনী তহবিল সংগ্রহেও ট্রাম্পকে ছাড়িয়ে গেছেন কামালা। এমন অবস্থায় লড়াই জোরদার হলেও অর্থনীতিসহ বিভিন্ন জাতীয় ইস্যুতে যুদ্ধের ক্ষেত্র অপরিবর্তিত বলে জয়ের প্রত্যাশা রিপাবলিকান সমর্থকদের।
ভোটাররা বলেন, 'ট্রাম্পের নীতি আর সবকিছুকে সঠিক পথে ফেরানোই আমাদের জন্য এখন সবকিছু। 'আমার মনে হয় যে ট্রাম্প কথার চেয়ে কাজে বেশি শক্তিশালী। তিনিই গণমানুষের প্রতিনিধি। ট্রাম্পের নীতি আর সবকিছুকে সঠিক পথে ফেরানোই আমাদের এখন প্রধান কাজ। বিশেষ করে অর্থনীতি আর অভিবাসন। ভোটের লড়াই জোরদার হয়েছে বলে আমরা সত্যি উদ্বিগ্ন। ভাবতেও পারছি না কামালা এলে কী হবে। অর্থনীতি ধসে যেতে থাকবে'।
এদিকে, ভোট পেতে মরিয়া নেতারা কত ডিগ্রি উল্টে যেতে পারেন, সেটিই যেন চাক্ষুষ দেখালেন কামালা হ্যারিস। বাইডেন প্রশাসনের সমর্থনে ইসরাইলি আগ্রাসনের নির্মম বলি অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকা। অথচ সেই প্রশাসনের ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা ফিলিস্তিনপন্থি জনতার কথা শুনবেন বলে শুক্রবার আশ্বাস দেন অ্যারিজোনার এক নির্বাচনী সমাবেশে। আশ্বাস দেন গাজায় অস্ত্রবিরতিরও।
এদিকে ডেমোক্র্যাট প্রেসিডেন্টপ্রার্থী ও বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিস বলেন,'আমি স্পষ্টভাবে বলেছি, অস্ত্রবিরতি এবং বন্দিবিনিময় চুক্তির এটাই সময়। এটাই সময়। অস্ত্রবিরতি কার্যকরে এবং বন্দিদের ঘরে ফিরিয়ে আনতে প্রেসিডেন্ট এবং আমি প্রতিটা দিন ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করছি। তাই আপনাদের দাবির প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল'।
গেলো বছর ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনে প্রাণ গেছে কমপক্ষে ৩৯ হাজার ৬৯৯ জনের। নিখোঁজ ১০ হাজারের বেশি। আহত প্রায় ৯২ হাজার মানুষ।