বিদেশে এখন
0

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পূরণ করতে পারছে না বিশ্বের বনাঞ্চলগুলো

জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব পূরণ করতে পারছে না বিশ্বের বনাঞ্চলগুলো। এক গবেষণার তথ্য বলছে, গাছের স্বাভাবিক বৃদ্ধি না ঘটায় বায়ুমণ্ডল থেকে পর্যাপ্ত কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করতে পারেনি গাছপালা।

প্রতি বছর বায়ুমণ্ডল থেকে গ্রিনহাউজ গ্যাসের তিন ভাগের একভাগ শোষণ করে বন ও অন্যান্য স্থলজ বাস্তুতন্ত্র। বনাঞ্চলের গাছপালা বায়ুমণ্ডল থেকে প্রচুর পরিমাণে কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সাহায্য করে। কিন্তু জীবাশ্ম জ্বালানি ক্রমবর্ধমান ব্যবহার এবং শিল্প ও মানব সৃষ্ট কারণে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এই প্রক্রিয়া। এতে উত্তপ্ত হচ্ছে পৃথিবী।

বনাঞ্চলের ভূমিকা নিয়ে সম্প্রতি একটি যৌথ গবেষণা পত্র প্রকাশ করেছে চীন ও যুক্তরাজ্যের পরিবেশ বিজ্ঞানীরা। গবেষণার তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে বায়ুমণ্ডলে প্রবেশ করেছে রেকর্ড পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড। আর এই অবস্থার উন্নতি করতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্বের বনাঞ্চলগুলো।

এক্সেটার বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্বন বিশেষজ্ঞ স্টিফেন সিচ বলেন, ‘গাছপালা পর্যাপ্ত পানি না পেলে তাদের উৎপাদনশীলতা বা বৃদ্ধি ঘটে না। তখন তাদের কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণের সক্ষমতাও কমতে থাকে। যা আমাজন বনের ক্ষেত্রে হয়েছে। খরা ও দাবানলে সালোকসংশ্লেষণ প্রক্রিয়া খুব কম হয়েছে।’

আমাজন রেইনফরেস্টে তীব্র খরা এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রেকর্ড দাবানলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিশাল আকারের বনাঞ্চল। তীব্র তাপপ্রবাহ ও বৃষ্টির অভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে গাছপালার স্বাভাবিক বৃদ্ধি। এতে বায়ুমণ্ডল থেকে প্রয়োজনীয় কার্বন ডাই অক্সাইড শোষণ করতে পারেনি বনের গাছপালা।

জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে গত বছর বৈশ্বিক তাপমাত্রা রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবিষ্যতে জলবায়ু পরিবর্তন চরম আকার ধারণ করবে। কারণ, মানব সৃষ্ট কারণে বায়ুমণ্ডলে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা দিন দিন বাড়ছে।

ইএ