প্রবাস
বিদেশে এখন
0

কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা দেয়ার নামে এডুকেশন এজেন্সি হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অর্থ

অনলাইনে চটকদার বিজ্ঞাপন আর মিষ্টি কথার ফাঁদে ফেলে দেশের বহু শিক্ষার্থীর সঙ্গে প্রতারণা করছে বিভিন্ন এডুকেশন এজেন্সি। কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা করিয়ে দেয়ার নাম করে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে কাড়িকাড়ি অর্থ। কানাডা সরকারের অভিবাসন, শরণার্থী ও নাগরিকত্ব মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করা কর্মকর্তারা বলছেন, উচ্চ শিক্ষার পথ কঠিন হয়েছে বটে, তবে শিক্ষার্থী নিজে সচেতন হলেই কমবে অসাধু তৎপরতা।

যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় স্থায়ী হওয়ার স্বপ্ন দেশের কোটি কোটি মানুষের। এই স্বপ্ন বাস্তবায়নে তরুণদের অন্যতম বড় সুযোগ শিক্ষার্থী হয়ে দেশ দুটিতে প্রবেশ করা। একটা সময় কেবল মেধাবীরা বাইরে পড়তে যাওয়ার জন্য আবেদন করলেও এখন বিভিন্ন স্তরের ছাত্র-ছাত্ররা আবেদন করছেন। যোগ্যতা কম থাকলেও, দেশীয় কিছু এডুকেশন এজেন্সি প্রলোভন দেখিয়ে তাদের সে পথে নিয়ে যাচ্ছে। বিনিময়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। অন্যদিকে ভিসা প্রত্যাখ্যানের হার বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে।

নতুন নিয়ম অনুযায়ী কানাডায় শিক্ষার্থী ভিসা আগের থেকে হ্রাস করা হবে। কিন্তু পড়াশোনার অর্থায়ন আর কাগজপত্র ঠিক থাকলে যোগ্য প্রার্থীদের কোনো সমস্যা হবে না বলে মনে করছেন ইমিগ্রেশন পরামর্শ কর্মকতা। তবে ভারতীয় শিক্ষার্থীদের তুলনায় অনেক পিছিয়ে বাংলাদেশিরা।

আইআরবি রেগুলেটেড কানাডিয়ান ইমিগ্রেশন কনসালট্যান্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, 'এক বছরের মাস্টার্স ডিগ্রি করে থাকলে সেখানে  আপনি তিন বছরের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট পাবার সম্ভাবনা রয়েছে সেখানে যদি  আপনার সব রিকয়েরমেন্ট ঠিক থাকে।'

শিক্ষার্থী নিজে সচেতন হলে সমস্যা অনেকখানি সমাধান সম্ভব বলে মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষকতা করা জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক।

যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির শিক্ষক মাহমুদ মেনন খান বলেন, 'এজেন্সি খারাপ জিনিস না তবে সমস্যা হচ্ছে বাংলাদেশে অসাধু এজেন্সি তৈরি হয়েছে। তাদেরকে এড়িয়ে চলা ভালো। স্টুডেন্টের যদি নিজস্ব যোগ্যতা থাকে সে যদি চেষ্টা করে বিশ্বের যেকোনো দেশে চান্স পাবে।'

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, জাপান, ব্রিটেন, জার্মানি ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলো উচ্চশিক্ষার জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে অনেক শিক্ষার্থী এর বাইরের দেশগুলোকেও বেছে নিচ্ছেন। নিজে দেখে শুনে সিদ্ধান্ত নিলে প্রতারিত হওয়ার শঙ্কা কমে আসবে বলে মনে করেন শিক্ষাবিদরা।

ইএ

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর